সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
খননকারী দলের প্রধানের মতে, অযোধ্যা নিয়ে তাঁর সহকর্মী প্রত্নতাত্ত্বিক এবং অন্যান্যদের মধ্যে প্রচুর মতবিরোধ ও জল্পনা রয়েছে। বাবরি মসজিদের তলায় কোনও মন্দির ছিল কি না, তা নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে। এখন সুপ্রিম কোর্টের রায়ে যাবতীয় জল্পনা এবং সন্দেহের নিরসন হল। তাঁর দলের পাঁচ-ছ’মাসের দিন-রাত এক করা পরিশ্রম অবশেষে সফল হওয়ায় অত্যন্ত খুশি ড. বি আর মণি।
গতকালের রায়ে সুপ্রিম কোর্টও অযোধ্যায় হিন্দু মন্দিরের অস্তিত্ব সম্পর্কে কোনও কথা বলেনি। শুধুমাত্র মসজিদের নীচে অ-ইসলামিক ধ্বংসাবশেষের কথাই সেখানে বলা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমের কাছে বিষয়টির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করেছেন খননকারী দলের প্রধান। তিনি বলেন, ‘যদি কেউ রিপোর্টের উপসংহার দেখেন, সেখানে স্পষ্ট করে লেখা রয়েছে যে মসজিদের তলায় বড়সড় ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। এবং সেটি কারও বাসস্থান নয়। ওটা কোনও প্রকাশ্য স্থানের ধ্বংসাবশেষ। আমরা সেখানে কলসি জাতীয় এবং অন্যান্য বহু জিনিসের উপস্থিতির প্রমাণ পেয়েছি। যা সাধারণ উত্তর ভারতীয় মন্দিরে দেখা যায়। সেখান থেকেই আমরা এই সিদ্ধান্তে আসি।’ সুপ্রিম কোর্টের রায়ে খননকাজে কালো স্তম্ভের খোঁজ পাওয়ার কথাও বলা হয়েছে। বি আর মণির মতে, বিশেষত বাংলা, বিহার এবং অযোধ্যা অঞ্চলের নবম শতাব্দীতে তৈরি মন্দিরগুলিতে এই রঙের পাথর দেখতে পাওয়া যেত। খননকাজের সময় এমন ১২টি স্তম্ভেরও খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, যেগুলি মসজিদের থেকে প্রাচীন। অর্থাৎ সেগুলি সেখানে পুনর্ব্যবহার করা হয়েছে। যা আরও প্রাচীন কোনও মন্দিরের কাঠামোর অবশিষ্টাংশ।
অযোধ্যার ওই বিতর্কিত জমি থেকে কী কী জানতে পেরেছিলেন খননকারীরা? বিষয়টি সম্পর্কেও আলোকপাত করেছেন মণি। তিনি বলেন, ‘আমরা যে ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছি, সেটি বৃত্তাকার। এই ধরনের কাঠামো দশম শতাব্দীর মন্দিরে দেখা যেত। বিশেষত, কলচুরি রাজাদের আমলে। বস্তি, সিদ্ধার্থনগর জেলায় খননকার্যে এই ধরনের মন্দিরের সন্ধান মিলেছে। অযোধ্যায় এই বৃত্তাকার কাঠামোর উপর একাদশ শতাব্দীর কাঠামোও পাওয়া গিয়েছে। আমাদের গবেষণা বলছে, কোনও কারণে ওই বৃত্তাকার কাঠামো ভেঙে ফের বানানো হয়।’ পাঁচটি আলাদা সারিতে ১৭টি করে স্তম্ভের খোঁজও তাঁরা পেয়েছিলেন। মোট স্তম্ভের সংখ্যা ৮৫। কিন্তু মসজিদের প্রধান গম্বুজটির সামনে বা বর্তমানে যেখানে রামলালার মূর্তি রয়েছে সেখানে কোনও স্তম্ভের ভিত পাওয়া যায়নি। কিন্তু, এএসআই রিপোর্টে মন্দির ধ্বংস করে মসজিদ তৈরির কথা ছিল না। মন্দির ধ্বংস করার কোনও প্রমাণ পাননি, সাফ জানিয়েছেন মণি।