সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা, আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
বুলবুল নিয়ে দু’দিন ধরেই নানা সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে রাজ্য সরকার। চিড়িয়াখানার প্রাণীদের জন্যও যাতে আগাম ব্যবস্থা থাকে, সেজন্য সজাগ ছিল কর্তৃপক্ষ। তাই শনিবার চিড়িয়াখানা খোলা থাকলেও বেশিরভাগ প্রাণীকেই রাখা হয়েছিল তাদের শেল্টার হোমে। ক্যাঙারুদেরও তাদের বিচরণকেন্দ্রে বেরতে দেওয়া হয়নি। বাঘ-সিংহদের খাওয়া-দাওয়া হয়েছে ভিতরেই। লোকচক্ষুর আড়ালে ছিল অন্যান্য প্রাণীও। হাতেগোনা কয়েকজন মাত্র দর্শক চিড়িয়াখানায় এসেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তবে অন্যসব প্রাণীদের থেকেও অ্যানাকোন্ডাদের জন্য বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছিল। অধিকর্তা আশিস সামন্ত বলেন, পৃথক কাঠের বাক্সে চারটি অ্যানাকোন্ডাকেই কম্বলে জড়িয়ে রাখা হয়। ঘরে বাল্ব জ্বালিয়ে দেওয়া হয়, যাতে সেটি গরম থাকে। কেন এমন সিদ্ধান্ত? আশিসবাবুর কথায়, শনিবার আচমকাই তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল। এই প্রাণীরা এমন তাপমাত্রায় থাকতে অভ্যস্ত নয়। ফলে সতর্ক না হলে তাদের শরীরে প্রভাব পড়তে পারে। তাই তাদের শরীর গরম রাখতে কম্বল দেওয়া হয়েছিল।
এদিকে, ঝড়ের মোকাবিলা করতে চিড়িয়াখানা সব রকম প্রস্তুতি নিয়েছিল। চিকিৎসক, কিপার, সুপারভাইজার, গার্ডেনার নিয়ে ২৫-৩০ জনের দল তৈরি করা হয়েছিল। তারা সারা রাত পশুশালায় ছিল বলে জানান অধিকর্তা। রাতভর সিসিটিভি’র দিকেই নজর ছিল এই কর্মী-আধিকারিকদের। অধিকর্তার ঘরেই সেই কাজ চলে। ঝড়-বৃষ্টিতে কোনও প্রাণী অস্বাভাবিক আচরণ করছে কি না, বা কোথাও কিছু ভেঙে পড়ল কি না, সব কিছুর উপরই নজর রাখা হয়েছিল। তবে ঝড়ে খুব একটা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কিছু গাছের ডালপালা ভেঙেছে মাত্র। এই রকম পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য নিয়মিত বড় বড় গাছের ডালপালা ছাঁটা হয়। তাই বড় রকমের কিছু ভাঙেওনি। আশিসবাবু জানান, বছর তিনেক আগে এমন একটি ঝড়ে অনেক গাছ উপড়ে পড়েছিল। বড় বড় ডাল ভেঙে যায়। কিন্তু এবার আগাম অনেক ডাল পালা কেটে ফেলা হয়েছিল। তাই তেমন কিছু ভাঙেনি। রবিবার অবশ্য স্বাভাবিকই ছিল চিড়িয়াখানা। পশুপাখিরা তাদের শেল্টার হোম ছেড়ে নিজেদের বিচরণকেন্দ্রে বেড়িয়েছে।