শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
রাজনাথ বলেন, পোখরানেই অটলবিহারী বাজপেয়ি ভারতকে এক শক্তিশালী পরমাণু ক্ষমতাধর রাষ্ট্রে পরিণত করেছিলেন। তিনি প্রথম ব্যবহার না করার মন্ত্রে অটল ছিলেন। রাজনাথ বলেন, ‘আজকের তারিখ পর্যন্ত আমরা অটলজির সেই নীতিতেই অনড়। তবে পরিস্থিতি অনুযায়ী ভবিষ্যতে কী সিদ্ধান্ত হবে, সেটা এখনই বলা যায় না।’ ভারতের প্রথম পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। ১৯৭৪ সালে। ১৯৯৮ সালে ক্ষমতায় এসেই অটলবিহারী বাজপেয়িও পোখরানে পাঁচটি পরমাণু বোমা পরীক্ষা করেন।
ঠিক যেদিন রাষ্ট্রসঙ্ঘে প্রায় ৫৪ বছর পর কাশ্মীর নিয়ে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়েছে চীনের প্ররোচনায়, সেদিনই ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ ভারত এভাবেই পরোক্ষভাবে হয়তো আন্তর্জাতিক শক্তিকেন্দ্রকে বার্তা দিল যে, এটা এক অন্য ভারত। চাপ সৃষ্টি করে কোনও লাভ হবে না। ভারতের পরমাণু অস্ত্র নীতি অর্থাৎ নিউক্লিয়ার ডকট্রিন কী? ১) প্রথমে ভারত পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করবে না। ২) গ্রহণযোগ্য ন্যূনতম প্রতিরোধ ব্যবস্থা ৩) অন্য দেশ ভারতকে পরমাণু অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করলে ভারত পাল্টা তীব্র মাত্রায় জবাব দেবে ৪) পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করা হবে কি না, সে সিদ্ধান্ত নেবেন জনপ্রতিনিধি। অর্থাৎ মানুষের দ্বারা নির্বাচিত নীতিনির্ধারক। সোজা কথায় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত হবে। আমলাতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত হবে না। ৫) একটি পরামাণু অস্ত্রহীন দেশের বিরুদ্ধে কখনওই পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করা হবে না। ৬) কোনও দেশ ভারতকে কেমিক্যাল ও বায়োলজিক্যাল অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করলেও তার জবাব তৎক্ষণাৎ দেওয়া হবে ৭) ভারত সর্বদাই বিশ্বের পরমাণু অস্ত্রহীন পৃথিবী গড়ে তোলার কর্মসূচির সঙ্গে থাকবে।
ভারতের পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে নিউক্লিয়ার কমান্ড অথরিটি। সেই অথরিটির অন্তর্গত দু’টি কাউন্সিল আছে। রাজনৈতিক কাউন্সিল এবং এগজিকিউটিভ কাউন্সিল। এর মধ্যে সর্বশক্তিমান রাজনৈতিক কাউন্সিল। সেই কাউন্সিলের চেয়ারম্যান স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। আর এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের শীর্ষপদে আছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। বস্তুত প্রধানমন্ত্রীর হাতেই পরমাণু অস্ত্র আক্রমণের নির্ণায়ক ক্ষমতা। কিন্তু তা সত্ত্বেও একটা নিয়ম আছে। তিনি তিনটি বৈঠক করবেন। প্রথমে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির বৈঠক। তারপর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে। সর্বশেষে চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যানের সঙ্গে। এরপরই প্রধানমন্ত্রী নিউক্লিয়ার বাটন অন করার বার্তা দেবেন। একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছেই আছে একটি গোপন ডিজিট। নিউক্লিয়ার কোড! সেটি ব্যবহার করলেই নিউক্লিয়ার মিসাইল অ্যাকটিভ হয়ে যাবে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে!