শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
এরপরেই মানসবাবু বলেন, পশ্চিমবঙ্গে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন, কৃষক পরিবারের কেউ মারা গেলে দু’লক্ষ টাকা পাবে। কৃষক পরিবারকে তার জমির জন্য কোনও মিউটেশন ফি দিতে হবে না। চাষের জন্য কৃষক পরিবারকে বছরে পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। কৃষকদের পাশে থাকতে এর চেয়ে ভালো আর কি হতে পারে? কৃষি জমির মালিককে মোদি সরকার বছরে যে ছ’ হাজার টাকা দেওয়ার প্রকল্প নিয়েছে, তা আদতে সঠিক কৃষক বান্ধব নয় বলেই মানসবাবুর দাবি। তিনি বলেন, কেন্দ্র দিচ্ছে কৃষি জমির মালিককে। অর্থাৎ যার নামে জমি তিনি পাবেন। সেখানে অনেক ক্ষেত্রেই প্রকৃত কৃষকেরই বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাচ্ছে।
বাজেট বক্তৃতায় অংশ নিয়ে তৃণমূলের দলীয় অবস্থান বজায় রেখে মোদি সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন মানসবাবু। বলেন, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য, কৃষির মতো মানুষের সঙ্গে যুক্ত বিষয়গুলি সম্পর্কে বাজেটে তেমন কোনও উল্লেখযোগ্য উদ্যোগ নেই। উলটে ৪২টি কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণের দিকেই এগচ্ছে সরকার। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে কীভাবে পাঁচ লক্ষ কোটি ডলারের অর্থনীতির স্বপ্ন দেখছে মোদি সরকার? অর্থমন্ত্রীকে কোণঠাসা করতে তৃণমূলের এই এমপির মন্তব্য, অর্থনৈতিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে ২০১৮-১৯ সালের রাজস্ব সংগ্রহের পরিমাণ ১৭ লক্ষ ২৫ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা। যা পরে বেড়ে হয়েছে ১৭ লক্ষ ২৯ হাজার ৬৮২ কোটি টাকা। অথচ বাজেটে বলা হচ্ছে আনুমানিক রাজস্ব হল ১৫ লক্ষ ৬৩ হাজার ১৭০ কোটি টাকা। কেন এমন হিসেব? তবে কি নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে কিছু লুকোচ্ছেন অর্থমন্ত্রী? প্রশ্ন ছোঁড়েন মানসরঞ্জন ভুঁইয়া।