বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
ক্ষমতায় এলে নূন্যতম নিশ্চিত উপার্জন নিয়ে কংগ্রেস সভাপতি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা নিয়ে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে। দলীয় ইস্তাহারে কোন বিষয়ে জোর দেওয়ার প্রয়োজন, তা নিয়েও কথা হবে। এছাড়া মোদি বিরোধী জোটের পক্ষ থেকে রাহুল গান্ধীকে যে নূন্যতম অভিন্ন কর্মসূচির খসড়া তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তাও আলোচনার বিষয় হিসেব থাকতে পারে।
মোদি বিরোধী লড়াই জোরদার করতে বিরোধী দলগুলির সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানোর পাশাপাশি নিজের সংগঠনকেও আরও চাঙ্গা করছেন রাহুল গান্ধী। সেই মতো রাজ্যে রাজ্যে প্রদেশ নেতৃত্বকে নির্বাচনে বিভিন্ন দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। নির্বাচনী কমিটি তৈরি করা হচ্ছে। জাতীয়স্তরে পি চিদম্বরমের নেতৃত্বে ইস্তাহার কমিটি তৈরি হলেও রাজ্যস্তরেও পৃথক ইস্তাহার কমিটি তৈরি হচ্ছে। থাকছে প্রচার কমিটি, সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সমন্বয় রাখার কমিটি সহ নির্বাচনী ম্যানেজমেন্ট টিম। কেবল প্রদেশস্তরেই নয়। জেলা সংগঠনকেও চাঙ্গা করার কাজ শুরু হয়েছে। সেখানেও নতুন কমিটি তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছে।
কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহার তৈরিতে পি চিদম্বরমের নেতৃত্বে কমিটি গোটা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরে ১৫০ টি জায়গায় বৈঠক করেছেন। সমাজের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। ১৯ জনের ইস্তাহার কমিটির বাইরে রাহুল গান্ধী ন’জনের একটি কোর গ্রুপ কমিটিও তৈরি করেছেন। এ কে অ্যান্টনি, পি চিদম্বরম, গুলাম নবি আজাদ, আহমেদ প্যাটেলের মতো নেতারা যেখানে রয়েছেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে কোর কমিটি প্রায়ই নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসে পরিকল্পনা তৈরি করছেন। পরে সেটি নিয়ে রাহুল গান্ধীর কাছে তা রিপোর্ট করা হচ্ছে।
২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে মহারাষ্ট্রের ওয়ার্ধায় সিডব্লুসি’র বৈঠক করেছিলেন রাহুল। একইভাবে রাহুলের সিদ্ধান্ত এবার থেকে স্রেফ দিল্লিতে নয়। বিভিন্ন রাজ্যে ঘুরে ঘুরে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হবে। যাতে দলের সর্বোচ্চ কমিটির বৈঠককে ঘিরে প্রদেশ নেতৃত্বের মধ্যে উৎসাহ বাড়ে। সেই মতোই লোকসভার কথা মাথায় রেখে এবার আমেদাবাদে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের স্থান ঠিক করা হয়েছে। ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য সহ স্থায়ী ও বিশেষ অতিথি নিয়ে মোট ৫৫জনকেই ডাকা হয়েছে।