আজ অর্থাগম ক্ষেত্রটি মধুর। কাজ করেও সাফল্যের অভাব। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উন্নতি। ... বিশদ
সার্নে ঈশ্বরকণা নিয়ে গবেষণায় যুক্ত ছিলেন অধ্যাপক মানস মাইতি। তৎকালীন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধাচারণ করায় ২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী, তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তও শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মানসবাবু। হাইকোর্ট তখন এক নির্দেশে জানায়, বিভাগীয় তদন্ত চলাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ করা যাবে না।
তা সত্ত্বেও গত বছর ৭ জুলাই উপাচার্য কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগকে চিঠি লিখে জানান, সার্নের মতো কোনও আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রকল্পে যুক্ত হওয়ার জন্য মানস মাইতিকে ছাড়পত্র দেওয়া যাবে না। এরপরই গবেষণার জন্য অর্থ বরাদ্দ বন্ধ করে দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মানসবাবুকে ফের ওই গবেষণার জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বন্ধ থাকায় গবেষণার কাজটি শুরু করা যাচ্ছে না।
বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মামলার শুনানিতে বিষয়টি তুলে ধরেন মানসবাবুর আইনজীবী শামিম আহমেদ। বিষয়টি শোনার পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে পাঠানো চিঠি খতিয়ে দেখে কেন্দ্রকে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। ফের শুনানি ২১ মে। ওইদিন কেন্দ্রকে তাদের বক্তব্য জানাতে হবে।