আজ অর্থাগম ক্ষেত্রটি মধুর। কাজ করেও সাফল্যের অভাব। উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় উন্নতি। ... বিশদ
এই পরিসংখ্যান খানিকটা উদ্বেগও সৃষ্টি করছে। একদিকে যেমন বাণিজ্য শাখায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা উদ্বেগজনকভাবে কম থাকছে (এ বছর মাত্র ৩৮,৪২৯ জন পরীক্ষার্থী), তেমনই এই শাখায় বেশি নম্বর পাওয়া পড়ুয়ার সংখ্যাও আশাব্যাঞ্জক নয়। এমনকী, মেধা তালিকার ৫৮ জনের মধ্যে বাণিজ্য শাখা থেকে একজনও নেই। সেখানে বিজ্ঞান শাখা থেকে রয়েছেন ৪০ জন। আর কলা বিভাগ থেকে রয়েছেন ১৮ জন। তাছাড়া, কলা বিভাগে বেশি নম্বর ওঠায় ভর্তি নিয়েও সমস্যা তৈরি হতে পারে। কারণ, ৯০ থেকে ১০০ শতাংশ নম্বর পাওয়া ছাত্রছাত্রীদের একটা বড় অংশের লক্ষ্য থাকে যাদবপুর ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় বা সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের মতো প্রতিষ্ঠানে স্নাতক স্তরে ভর্তি হওয়া। তিনটি প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে স্নাতক স্তরের আসন সংখ্যা সেই নিরিখে অনেকটাই কম। ফলে কলকাতা, বর্ধমানের মতো বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অধীন নামী কলেজগুলিতেও প্রতিযোগিতা বাড়বে। কিছুটা চাপ থাকবে প্রচুর নম্বর পাওয়া আইএসসি উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের কারণেও। পাশের হার কম হলেও ৫ লক্ষ ২৫ হাজার ৩০ জন ছাত্রছাত্রী উত্তীর্ণ হয়েছেন কলা বিভাগে। তাই শুধু নামী প্রতিষ্ঠানে নয়, সর্বত্রই ভর্তির চাপ থাকবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। শিক্ষামন্ত্রী আগেই ঘোষণা করেছেন, এ বছর কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে অনলাইন ভর্তি হবে কলেজগুলিতে। সেক্ষেত্রে অবশ্য কলেজগুলিতে আসন ফাঁকা থেকে যাওয়ার সম্ভাবনা কমবে। আরও স্বচ্ছ হবে ভর্তি প্রক্রিয়া।