শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
এদিন তৃণমূল নেত্রী পুরুলিয়ার পাড়ায় দলীয় প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতর সমর্থনে সভা করেন। সেখান থেকে তিনি বিষ্ণুপুর লোকসভার পাত্রসায়রের গরুহাটতলার মাঠে আসেন। এদিন পুরুলিয়া ও বিষ্ণুপুর দুই সভা থেকেই মমতা প্রধানমন্ত্রীকে এক হাত নেন। বারবার সেই প্রসঙ্গে বলেন, ‘এত বড় মিথ্যাবাদী প্রধানমন্ত্রী দেখিনি। তিনি যাতে ফিরতে না পারেন, সেই জন্য ভোট দেবেন না।’ এদিন মমতা তাঁর ও মোদির প্রতিশ্রুতির ফারাক বুঝিয়েছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার হোক বা স্বাস্থ্য সাথী, উপচে পড়া ভিড়কে তাঁর প্রশ্ন, ‘এইসব পেয়েছেন তো?’ হর্ষধ্বনিতে প্রাপ্তি সংবাদ দিয়েছে জনতা। মমতা বলেন, ‘মোদি যেগুলো দেবে বলেছিল, তা কি দিয়েছে? সবার পকেটে ১৫ লক্ষ করে টাকা কি দিয়েছে? ৫০ হাজার দিয়েছে?’ তাই মোদিকে তিনি মিথ্যার ‘গুরু’ বলেও কটাক্ষ করেছেন।
মমতার প্রশ্ন, ‘১০০ দিনের কাজের টাকা কি মোদি দিয়েছে?’ উত্তর আসে, ‘না’। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই টাকা আমরা দিয়েছি। তিন বছর পরপর বাংলা প্রথম হলেও এই টাকা বাংলাকে দিল না। গর্ধবের দল ভাজপা জানে না। আমরা দুর্নীতি করিনি। বরং ২৪ কোটি টাকা বাঁচিয়েছি। তাই বিজেপি মিথ্যেবাদী।’ এদিন পাত্রসায়রের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখে উঠে আসে সন্দেশখালির প্রসঙ্গও। বলেন, ‘সন্দেশখালি দেখেছেন তো! টাকা দিয়ে মেয়েদের সম্মান কীভাবে বিক্রি করে দিয়েছে! এরা পারে না, এমন কাজ নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘রাতের বেলায় গাড়িতে করে লুকিয়ে আরএসএস ও বিজেপির কিছু লোক বাড়ি বাড়ি ভোটের জন্য টাকা দিতে যাচ্ছে। দু’-একজন মহিলা সাথীকেও নিচ্ছে। তাই আমি পরিষ্কার বলছি, আগে বলবেন ১৫ লক্ষ টাকা দাও, তারপর দু’-তিন হাজার।’
এখানেই শেষ নয়, ‘খেলা হবে’ স্লোগানেও শান দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, ‘ভাই-বোনেরা খেলা হবে তো? হাতা খুন্তি, হাঁড়ি, ফুটবল, ধামসা মাদলের খেলা হবে! মোদিবাবুকে বিদায় জানানোর খেলা হবে! তাই মনে রাখবেন, এবার ভোট তৃণমূলকে দিতেই হবে। জোড়াফুলে যদি ভোট না দেন, ওরা ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সবাইকে দেশ থেকে বের করে দেবে। দেশটাকে বিক্রি করে দিয়েছে বিজেপি।’