ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
ভোটে বারুদের গন্ধ পরিচিত। আগে কেবল পেটো ব্যবহার হলেও গত কয়েকটি নির্বাচনে নাম কুড়িয়েছে শক্তিশালী কৌটো, সকেট এবং পিন বোমা। তবে, পেটোতেও আধুনিকীকরণ হয়েছে। পুলিস ও গোয়েন্দা সূত্রের খবর, কলকাতার শহরতলি এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় বোমা তৈরি হয়। ভোটের তিনমাস আগেই বরাত শেষ হয়ে যায়। এবারের ভোটে উলটপুরাণ। প্রতিবার ভোটের আগে উত্তরপ্রদেশ থেকে ক্যুরিয়ারে কুইন্টাল কুইন্টাল ‘হোলসেল’ বারুদ আসে। ডানকুনি থেকে সরবরাহ হয়। এবার নাকি হোলসেল হচ্ছে না। গত বিধানসভায় এক একটি ভালো পেটোর দাম ছিল ৩০০-৪০০ টাকা। ভিতরে লোহার বল, কাচের টুকরো, বঁড়শির কাঁটা, নতুন ব্লেডের টুকরো মেশানো থাকত। এই পেটো এবার পিস পিছু ২৫০ টাকায় নেওয়ার কাস্টমারও মিলছে না।
পেটোর চেয়ে উন্নত কৌটো ও সকেট বোমা। রান্নার মশলায় ব্যবহৃত স্টিলের কন্টেনার দিয়ে কৌটো বোমা এবং লোহার পাইপ দিয়ে তৈরি হয় সকেট বোমা। গতবারও এই বোমা ৬০০-৬৫০ টাকা পিসে হু হু করে বিক্রি হয়েছে। এবার ২০০ টাকা ডিসকাউন্ট দিয়ে ৪০০-৪৫০ টাকাতেও ক্রেতা নেই। পিন বোমা আরও উন্নত। ব্যবহার করার সময় ‘হ্যান্ড গ্রেনেডে’র মতো পিন খুলে ছুড়তে হয়। ৮০০ টাকার পিন বোমা ৫০০-৬০০ টাকায় দিয়েও মিলছে না ক্রেতা।
স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, এই গরমে বোমা তৈরি খুবই ঝুঁকির। তবে মোটা টাকা লাভের আশায় অনেকে প্রাণ হাতে নিয়ে এই পেশায় আসে। এবারের ভোটও কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে বেশ কড়াকড়ির। কেরামতি দেখানোর সুযোগ কম। চাহিদা নেই বুঝে একঝাঁক কারিগর রাজমিস্ত্রির জোগাড়ের কাজ নিয়েছে। কম হলেও ব্যক্তিগতভাবে কেউ কেউ অবশ্য বোমা মজুত করছে। একটাই আশা, যদি শেষ মুহূর্তে ক্রেতা মেলে!