উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
বুলবুলের দাপটে প্রচুর বাড়ির ক্ষতি হয়েছে। সরকারি হিসেবেই ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৬০ হাজার বলে রবিবার জানানো হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ কাঁচাবাড়ি। ফসলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের সরাসরি প্রভাব যে দুই ২৪ পরগনা ও কিছুটা পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পড়েছে, তার বাইরেও হাওড়া, হুগলি, বাঁকুড়া প্রভৃতি জেলায় অসংখ্য কৃষকের সর্বনাশ করে দিয়েছে বুলবুল। মাঠের পর মাঠ পাকা ধান ঝড় ও বৃষ্টিতে নুয়ে পড়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সব্জি, পানের বরজ প্রভৃতির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সুন্দরবন বনাঞ্চলেরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিক রিপোর্ট এসেছে। ঘূর্ণিঝড় প্রভাবিত এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ, টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়েছে। প্রচুর সংখ্যক মোবাইল ফোনের টাওয়ার ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে। ১০৫০টি মোবাইল টাওয়ারের পরিষেবা বন্ধ হয়েছে।
সরকারিভাবে জানানো হয়েছে, মোট ১ লক্ষ ৭৮ হাজার জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। ত্রাণশিবির চলছে ৪৭১টি। ৩২৩টি রান্নাঘর চালানো হচ্ছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ১০টি টিমের পাশাপাশি রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর ছ’টি টিম উদ্ধারকার্যে যোগ দিয়েছে। কলকাতা পুলিস ও সিভিল ডিফেন্স ভলান্টিয়ারদের উদ্ধারকাজে নামানো হয়েছে। মোট ৯৪টি বোট নদীপথে উদ্ধারকার্য চালাচ্ছে।
শনিবার রাতে সাগরদ্বীপের উপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল স্থলভূমিতে আছড়ে পড়ে। ফলে দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগনার উপকূল সংলগ্ন সুন্দরবন এলাকায় ঝড় ও বৃষ্টির দাপট বেশি ছিল। স্বাভাবিকভাবে সেখানেই ক্ষয়ক্ষতি ও হতাহতের সংখ্যা বেশি হয়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সাগরদ্বীপ ছাড়াও কাকদ্বীপ, নামখানা, বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ, পাথরপ্রতিমা, কুলতলি, জয়নগর এলাকা এবং উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালির এক এবং দুই নম্বর ও হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকে বেশি বিপর্যয় হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ, হাসনাবাদ, ও বসিরহাট এক নম্বর ব্লক এলাকায় ক্ষতির পরিমাণও ব্যাপক। গ্রামগুলো ঝড়ে লণ্ডভণ্ড। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার উপকূলবর্তী কাঁথি, রামনগর এলাকা ছাড়াও খেজুরি ও নন্দীগ্রাম ব্লকেও বহু গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত ২০০৯ সালে বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছিল সুন্দরবন এলাকায়। সেই ঝড়ের গতিবেগও বুলবুলের মতো ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি ছিল। তবে আইলায় মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। ঝড় আছড়ে পড়ার আগে বহু মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কারণে এবার প্রাণহানি অনেক কম বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।