উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, আবেদনকারীদের কাছে কার্ড পৌঁছে দেওয়ার জন্য ডাক বিভাগের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। ডাক বিভাগ যে ব্যবস্থার মাধ্যমে নতুন ইস্যু হওয়া পাসপোর্ট বাড়ির ঠিকানায় পৌঁছে দেয়, রেশন কার্ডের ক্ষেত্রে সেটাই করবে। সব আবেদনকারীর কাছে রেশন কার্ড পৌঁছানো নিশ্চিত করতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কার্ড যাতে ঠিকমতো পৌঁছায় তার জন্য ফর্মে বাড়ির ঠিকানা নির্ভুলভাবে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে খাদ্য দপ্তর। ভর্তুকি বিহীন রেশন কার্ডও এই একই ব্যবস্থার মাধ্যমে আবেদনকারীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। খাদ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরির দায়িত্ব ভিন রাজ্যের একটি সংস্থা করবে। রাজ্য সরকারি সংস্থা সরস্বতী প্রেসের মাধ্যমে ভিন রাজ্যের সংস্থাটিকে কার্ড তৈরির কাজ দেওয়া হয়েছে।
বিভিন্ন জেলায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে প্রশাসনিক বৈঠকে প্রায়শই রেশন কার্ড না পাওয়ার বিষয়টি উঠত। সবাই যাতে রেশন কার্ড পান, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রী খাদ্য দপ্তরকে নির্দেশ দেন। এরপর সেপ্টেম্বর মাসে রেশন কার্ডের জন্য বিশেষ শিবির খোলা হয় রাজ্য জুড়ে। নভেম্বর মাসে দ্বিতীয় পর্যায়ের শিবির এখন চলছে গ্রামীণ এলাকায় বিডিও অফিসে ও শহর এলাকায় পুরসভা এবং কর্পোরেশনের বরো কমিটির অফিসগুলিতে। দ্বিতীয় পর্যায়ের শিবির চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। প্রথম পর্যায়ের শিবিরে যাঁরা রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করেছিলেন, তাঁদের ঠিকানায় চলতি মাস থেকে কার্ড পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে বলে খাদ্য দপ্তর আশা করছে।
এর আগে রেশন কার্ড বন্টন প্রক্রিয়ার বিকেন্দ্রীকরণ করেছিল খাদ্য দপ্তর। পুরসভা ও পঞ্চায়েতগুলিকে ডিজিটাল রেশন কার্ড বিলির দায়িত্ব দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসনগুলির মাধ্যমে পঞ্চায়েত ও পুরসভার কাছে ডিজিটাল কার্ড পৌঁছে দেওয়া হয়। খাদ্য দপ্তর সূত্রে বলা হচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রে পুরসভা ও পঞ্চায়েতগুলি তাদের অফিস থেকে কার্ড না দিয়ে স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের হাতে তা তুলে দেয়। জনপ্রতিনিধিদের অফিস বা বাড়ি থেকে কার্ড নিতে হয় রেশন গ্রাহকদের। খাদ্য দপ্তরের এক আধিকারিকের কথায়, এখনও হয়ত পঞ্চায়েত-পুরসভার জনপ্রতিনিধিদের বাড়িতে বিলি না হওয়া কার্ড পড়ে রয়েছে। তবে বিলি না হওয়া ওই কার্ডগুলির জন্য খাদ্য বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বহু কার্ড জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ফেরত নেওয়া হয়েছে। কার্ডে নাম, ঠিকানা ভুল হওয়া বণ্টন না হওয়ার অন্যতম কারণ।
পঞ্চায়েত-পুরসভার মাধ্যমে কার্ড বণ্টন প্রক্রিয়া ব্যর্থ হওয়ায় পরবর্তীকালে খাদ্য দপ্তরের স্থানীয় অফিস থেকে কার্ড দেওয়া শুরু করা হয়। রেশন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা রাখার জন্য ডিলারদের হাতে কার্ড বণ্টনের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। খাদ্য দপ্তরের অফিস থেকে কার্ড সংগ্রহ করতে আবেদনকারীদের দৌড়ঝাঁপ করতে হয়েছে। তাই এবার বাড়ির ঠিকানায় কার্ড পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।