শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
বলেছেন, রোগীর চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হতে পারে, এমন অবস্থার সৃষ্টি করে ডাক্তারদের এভাবে কর্মবিরতির মাধ্যমে প্রতিবাদের পথ বেছে নেওয়া মোটেই উচিত নয় বলেই মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। বলেছেন, কর্মবিরতি প্রতিবাদের শ্রেষ্ঠ পথ হতে পারে না। রোগীর চিকিৎসা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করার মূল দায়িত্বই ডাক্তারদের। অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বিষয়টিকে ‘প্রেস্টিজ ফাইট’ হিসেবে না নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ডাক্তারদের সঙ্গে ঠাণ্ডা মাথায় কথা না বলে মুখ্যমন্ত্রীর হুমকি আগুনে ঘৃতাহুতি দিয়েছে বলেই মন্তব্য করেছেন ডা. হর্ষ বর্ধন। যার জেরেই আন্দোলনের তীব্রতা বেড়েছে এবং গোটা দেশে তা ছড়িয়ে পড়ায় আদতে কম বেশি গোটা দেশের রোগীদের ভুগতে হচ্ছে।
এনআরএস কাণ্ডের জেরে শুক্রবার কমবেশি প্রায় গোটা দেশের সরকারি হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজে কর্মবিরতি পালন করেছে ডাক্তাররা। ইমারজেন্সি বিভাগে স্বাভাবিক থাকলেও আউডোরে নাজেহাল হতে হল রোগিদের। নয়াদিল্লির এইমস, সদরদরজঙ্গ, রামমনোহর লোহিয়ার মতো সরকারি হাসপাতালগুলির আউটডোর পরিষেবা ব্যাহত হল। একই ছবি অন্যত্রও। তবে রোগীরা সমস্যায় পড়লেও নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অনড় ডাক্তাররা।
তাই প্রথমে স্রেফ আজ একদিনের প্রতীকী প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত হলেও এখন তা আগামী রবিবার পর্যন্ত গোটা দেশেই চালানো হবে বলে ঠিক করেছে আইএমএ অর্থাৎ ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন। এছাড়া আগামী সোমবার গোটা দেশে ওপিডি সহ যাবতীয় কাজকর্ম বন্ধ রাখা হবে বলে প্রতিবাদ চূড়ান্ত হবে বলে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে আইএমএ। পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবাদ দিল্লি সহ সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ায় প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে ডাক্তারদের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার দাবি করেছিল এইমসের রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন।
আজ বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. হর্ষ বর্ধনের সঙ্গে দেখাও করেন তারা। সেখানে কেবল এইমস নয়। সফদরজঙ্গ, রাম মনোহর লোহিয়ার ডাক্তাররাও ছিলেন। সবাই মিলে ইউনাইটেড রেসিডেন্ট অ্যান্ড ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে সরকারি হাসপাতালে কর্মরত ডাক্তারদের নিরাপত্তার দাবি করা হয়েছে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের ঘটনার জেরে কর্মরত ডাক্তারদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলব। সব রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বাড়তি উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেব। তবে রোগীর পরিবারও যাতে অহেতুক ডাক্তারদের ওপর চড়াও না হয়ে চিকিৎসকে তার দায়িত্ব পালনে সহায়তা করে, তার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।