বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
চলতি মাসের গত ৫ তারিখ বারাসতের এই আদালতে সারদা মামলায় হাজিরা দিতে এসেছিলেন খোদ সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। ওদিন লাল ডায়েরি প্রসঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন, আমার কাছে কোনও ডায়েরি কাছে ছিল না। পেনড্রাইভ ও ল্যাপটপও ছিল না। লাল ডায়েরি সম্পর্কে আমি কিছু জানি না। দেবযানী নাকি সিবিআইকে জানিয়েছিলেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছিলেন, দেবযানী মুখোপাধ্যায় বলে থাকলে ওনাকেই জিজ্ঞাসা করুন। তবে, এদিন দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করা হলেও লাল ডায়েরি ইস্যুতে তিনি নিরুত্তরই রইলেন।
অন্যদিকে, সারদাকাণ্ডের তদন্তের স্বার্থে দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে জেলে গিয়ে নতুন করে জেরা করতে চায় সিবিআই। এ ব্যাপারে সিবিআইয়ের আইনজীবী আদালতের কাছে একটি আবেদনও করেছিলেন। এদিন সেই আবেদনের ব্যাপারে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। আদালত তার জন্য সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারকে হাজির থাকতে বলেছিলেন। সেই সঙ্গে কেস ডায়েরিও নিয়ে আসতে বলেছিলেন। তবে, সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে এদিন আদালতকে জানানো হয়েছে তদন্তকারী অফিসার কলকাতার বাইরে রয়েছেন। তাই কেস ডায়েরিও আনা যায়নি। সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে সময় চাওয়া হয়েছে। আদালত আগামী ১৪ মার্চ পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে।
অপরদিকে, এদিন এই আদালতেই এসেছিলেন সারদাকাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত কুণাল ঘোষ। তাঁর আইনজীবী এদিন কুণাল ঘোষের নিরাপত্তার ব্যাপারেও আদালতে আবেদন করেন। কুণাল ঘোষ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, রাজীবকুমারের সঙ্গে আমাকে মুখোমুখি বসানো হয়েছে। বহু লোক ভাবতে পারেন, আমি হয়ত অমুক লোকের নাম বলছি। বহু প্রভাবশালী ক্ষুব্ধ হতে পারেন। তাঁর নিরাপত্তা প্রসঙ্গে আসামি পক্ষের আইনজীবী রজনীশ মৌলিক বলেন, কুণাল ঘোষের নিরাপত্তার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য এই বিচারক এদিন রাজ্য পুলিসের ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছেন।