শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
এই দ্বীপে ভোটার সংখ্যা সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি। প্রায়শই নদী গিলে খেতে আসে এই দ্বীপকে। ভাঙনের কবলে পড়ে ক্রমশ ছোট হচ্ছে এই জায়গা। নিত্যদিন আতঙ্ক বুকে নিয়ে বাস করেন বাসিন্দারা। তবুও গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় উৎসবে শরিক হতে তাঁরা উৎসাহী। এই দ্বীপে বিদ্যুতের সমস্যা নিয়ে বিস্তর অভাব অভিযোগ আছে। কিন্তু তবুও ভোট দিতে কখনও পিছ পা হননি গ্রামবাসীরা। তাঁরা বলেন, বছরের বেশিরভাগ সময় দুর্যোগ মাথায় নিয়ে বসবাস করতে হয়। কিন্তু ভোটের মতো এক বড় উৎসব তো প্রতিবছর আসে না। তাই নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাই না। আমরা চাই, স্থায়ীভাবে এখানে বিদ্যুৎ সমস্যা মিটে যাক। জানা গিয়েছে, আইআইটি খড়্গপুর থেকে সোলার প্যানেল গ্রিড বসানো হয়েছে কিন্তু সেটা এখনও চালু হয়নি। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা এখানে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে পারছে না। ভৌগোলিক অবস্থান ও অন্যান্য কারণে খুঁটি বা তার টানা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানা গিয়েছে। তাই ভোটের দিন জেনারেটরই একমাএ ভরসা। এক আধিকারিক বলেন, ৩১ মে ভোট কর্মীরা ভোটকেন্দ্রে ঢুকে যাবেন। সেদিন থেকেই জেনারেটর চালু করা হবে। পরদিন দিনভর চলবে ভোট। সে সময় বিরামহীন এই মেশিন চালিয়ে রাখা হবে। বিদ্যুতের সমস্যা শুধু নয়, এখানে ইন্টারনেট শ্যাডো জোন রয়েছে। অর্থাৎ, নেটওয়ার্ক কাজ করে না সেভাবে। পূর্ব নির্বাচনগুলিতে প্রিসাইডিং অফিসারকে পঞ্চায়েত অফিসে এসে প্রতি ঘণ্টার ভোটদানের পার্সেন্টেজ জানাতে হয়েছে। সব মিলিয়ে এই দ্বীপে সুষ্ঠুভাবে ভোট করানো এক প্রকার চ্যালেঞ্জ বলেই মনে করছে প্রশাসন।