ধনাগম যোগটি অনুকূল। দুপুর থেকে কর্মের বাধা মুক্তি ও উন্নতি। শরীর-স্বাস্থ্য সমস্যার যোগ। ... বিশদ
ভালো-মাঝারি-মন্দ রেজাল্ট হাতে নিয়ে স্কুলের গেটে দাঁড়িয়ে আলোচনা, একাদশ শ্রেণিতে কোন বিষয় নিয়ে পড়ার ইচ্ছা। এই নম্বর হাতে নিয়ে কোনও বিষয় পাওয়ার সম্ভাবনা। কিছু স্কুলে একাদশের ফর্ম বিলিও হল এদিন। মার্কশিট নেওয়ার লাইনে দাঁড়িয়ে অনেক পড়ুয়া বলল, যা ভেবেছিলাম সেরকম নম্বর আসেনি। তাই রিভিউ করব। আবার কেউ বলল, যা ভেবেছিলাম, সেরকমই নম্বর এসেছে দেখছি।
দুপুরে কড়া রোদ মাথায় যাদবপুর বিদ্যাপীঠের বাইরে দাঁড়িয়ে অভিভাবকরা। বেশ ভিড় ওখানে। স্কুলের ভিতরে পড়ুয়াদের লাইন মার্কশিট নেওয়ার। সেখানে দাঁড়িয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকারা। মার্কশিট নিয়ে হেডস্যারের সঙ্গে দেখা করল অনেকে। ৬৭৮ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের অভিষিক্তা চক্রবর্তী। সে প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্যর কাছে গেল আশীর্বাদ নিতে। স্কুলের বাইরে অভিভাবকরা সন্তানের সঙ্গে সহপাঠীদেরও আদর করে দিচ্ছেন। ইতিমধ্যেই কে কে পড়াশোনা শুরু করেছে তা নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে আলোচনা চলছে। একটু কম নম্বর পেয়ে দুঃখিত যে, তাকে সহপাঠীরা সান্তনা দিল। এই শোন, ‘মাধ্যমিকে ৬০ শতাংশ পাওয়ার পর উচ্চ মাধ্যমিকে ৯০ শতাংশ পেয়েছে আমার এক দিদি,’ বলে একজন আর একজনকে ভরসা দিল। লেগে থাকলে ভালো রেজাল্ট হবেই, এই বলেই মনের জোর বাড়িয়ে নিল সবাই।
একই চিত্র উত্তর কলকাতার বেথুন স্কুলে। মার্কশিট নিতে আসা পড়ুয়াদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা গেল এখানে। এই স্কুলেও কেউ কেউ বিভিন্ন বিষয়ে নম্বর খানিকটা কম এসেছে বলে মন খারাপ করছিল। অভিভাবকদের মাথায় অবশ্য ঘুরছে সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা। একাদশ শ্রেণির ফর্ম কবে থেকে দেওয়া হবে, ভর্তির জন্য কী কী লাগবে, এসব খোঁজ নিচ্ছিলেন তাঁরা। অনেকে ইতিমধ্যেই বাড়িতে ক্লাস ইলেভেনের বই জোগার করে অল্পবিস্তর পড়াশোনা শুরু করে দিয়েছে। সেই আলোচনাও পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের মুখে শোনা গেল। অনেকেই পুরোনো স্কুল ছাড়তে চায় না। তাই মাধ্যমিকের নম্বর হাতে পাওয়ার পর নিজের স্কুলে পছন্দের বিষয় পাওয়া যাবে কি না সে নিয়ে উত্কণ্ঠা প্রকাশ করছিল। একই চিন্তা অভিভাবকদের মধ্যেও।