শেয়ার ও বিমা সূত্রে অর্থাগম হতে পারে। কাজের প্রসার ও নতুন কর্মলাভের সম্ভাবনা। বিদ্যা হবে। ... বিশদ
কপ্টারটি কাছে এলে বোঝা যায় এটি আকাশে মোটেও উড়তে পারে না। আসলে এটি একটি টোটো। সেটিকে হেলিকপ্টারের রূপ দেওয়া হয়েছে। চাকদহের বসিন্দা গৌতম মালাকার নামে এক টেটো চালক তাঁর তিন চাকার যানটিকে উড়োজাহাজের আদল দিয়েছিলেন বছর খানেক আগে। তিনি আগে সাইকেল সারানোর কাজ করতেন। সে কাজ কমে যাওয়ায় আয়ও কমে গিয়েছিল। তারপর টোটো চালানো শুরু করেন। তবে মাথার মধ্যে ঘুরত নতুন কিছু করার আইডিয়া। তাই টোটোটিকে কপ্টার বানিয়ে ফেললেন। ভাবলেন, মাথার উপর দিয়ে হেলিকপ্টার উড়ে গেলে সাধারণ মানুষ মাথা উঁচু করে তা দেখেন। এটা দেখেই মাথায় বুদ্ধি খেলে। ভাবেন, মাত্র ১০-২০ টাকা ভাড়ার বিনিময়ে মানুষ যদি হেলিকপ্টার চড়ার সুযোগ পায়, কেমন হবে। তারপর ব্যাটারি টোটোটিকে হেলিকপ্টারের মতো চেহারা দিলেন। মাথায় এবং ডানায় দুটো পাখাও বসালেন। এরপর তাঁর টোটোর ডিমান্ড যায় বেড়ে। কচিকাঁচারা তো বটেই বয়স্করাও গৌতমবাবুর হেলিকপ্টার মার্কা টোটোতে উঠতে শুরু করেন। তিন চাকার হেলিকপ্টারে চড়ে তাঁরা দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাচ্ছেন। কপ্টারটির জনপ্রিয়তা এখন কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তির থেকে কম নয়।
সেই জনপ্রিয়তার কারণেই হেলিকপ্টারটি ভোট প্রচারের কাজে ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন, বক্তব্য চাকদহের অনেকের। চাকদহ ব্লক প্রশাসন গৌতমবাবুর থেকে টোটো ভাড়া নিয়েছে। তারপর সেটিতে ভোটের স্লোগান লিখেছে। বসানো হয়েছে সাউন্ড বক্স। এদিন চাকদহ বিডিও অফিসের সামনে থেকে এই প্রচার গাড়ির যাত্রার সূচনা করেন কল্যাণীর মহকুমা শাসক অভিজিৎ সামন্ত। উপস্থিত ছিলেন চাকদহের বিডিও সমীরণকৃষ্ণ মণ্ডল, চাকদহের আইসি অরিন্দম মুখোপাধ্যায় সহ আরও অনেকে। মহকুমা শাসক বলেন, চাকদহ ব্লকের অভিনব উদ্যোগ। এই আকর্ষণীয় গাড়ি গ্রামে গ্রামে ঘুরে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। নির্বাচন সংক্রান্ত বার্তা দেবে এই প্রচার গাড়ি। -নিজস্ব চিত্র