পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
মা সারদা।
লক্ষ্মীবাবুর পুত্র কিরণচন্দ্র দত্তের আমন্ত্রণে অন্নপূর্ণা পুজো উপলক্ষে তৃতীয়বার এই বাড়িতে পদার্পণ করেন শ্রীমা। রাজি হন অন্নপ্রসাদ গ্রহণ করতেও। কিন্তু সারদাদেবী যে শ্রীরামকৃষ্ণকে নিবেদন করা অন্নই প্রসাদ হিসেবে গ্রহণ করেন! সেই ব্যবস্থাও হল। সঙ্গে নিয়ে আসা একটি রামকৃষ্ণের পট দত্ত পরিবারের ঠাকুরঘরে ঘরে স্থাপন করেন শ্রীমা। তাঁর নির্দেশে সেখানে অন্ন-ব্যঞ্জনাদির ব্যবস্থা করা হয়। মায়ের আশ্রম থেকে এসে স্বামী ধীরানন্দ পুজোর সব আয়োজন করেন। তারপর বিধিমতো ঠাকুরের পুজো ও ভোগ নিবেদন করেন সারদাদেবী। পুজো শেষে মা বলেন, ‘আমি দেখলাম যে শ্রীঠাকুর অন্নভোগ গ্রহণ করছেন।’ বিকেলে পুজো শেষে বলরাম বসুর বাড়িতে ফেরার তিন দত্ত পরিবারের সদস্যদের বলেন, ‘তোমরা এই পুজোটা (দেবী অন্নপূর্ণার সঙ্গে শ্রীরামকৃষ্ণের পুজো)
চালিয়ে যেও।’
১ নম্বর রামকান্ত বোস ফাস্ট বাইলেনের (বর্তমানে ১ নম্বর লক্ষ্মী দত্ত লেন) লক্ষ্মী নারায়ণ দত্তের বাড়ির অন্নপূর্ণা পুজো শতবর্ষ পেরিয়ে ১৩৪ বছরে পড়েছে। শ্রীমার কথামতো আজও সেদিনের মতোই শ্রীরামকৃষ্ণদেবের পুজো হয়। পরিবারের বর্তমান সদস্য কৌশিক দত্ত জানান, সেই পুণ্য মুহূর্তের ঘটনাকে স্মরণ করে অন্নপূর্ণা পুজোর সঙ্গে আজও শ্রীমায়ের স্থাপন করা শ্রীরামকৃষ্ণের পটে পুজো করা হয়। নতুন ধুতি-চাদরে সাজিয়ে তোলা হয় ঠাকুরঘর। শ্রীরামকৃষ্ণের পাশাপাশি শ্রীমা সারদাদেবীকেও নতুন বস্ত্র-ফুলে সাজিয়ে পুজো করা হয়। সারদাদেবীর নির্দেশ মেনে আজও নিবেদন করা হয় অন্নভোগ। তাতে থাকে ভাত, পাঁচরকম ভাজা, শুক্তো, ডাল ও তিন ধরনের তরকারি। এছাড়াও থাকে পোলাও, পনির, ধোকার ডালনা, আমের চাটনি। মিষ্টির মধ্যে থাকে পায়েস, রাবড়ি, রসগোল্লা ও সন্দেশ। ডাবের জল ও মিছরির শরবতের পাশাপাশি দেওয়া হয় মিষ্টি পানও। কৌশিকবাবু আরও বলেন, ‘প্রথম বছর আমাদের বাড়িতে শ্রীমা নিজের হাতে ঠাকুরের এই পুজো করেছিলেন। আজও এই পুজো করেন শ্রীরামকৃষ্ণের বংশধররাই। আমাদের বিশ্বাস, আজও অন্নপূর্ণা পুজোর দিন শ্রীমা আমাদের বাড়িতে আসেন ও পুজো গ্রহণ করেন।’