পেশা ও ব্যবসায় অর্থাগমের যোগটি অনুকূল। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষণ বৃদ্ধি পেতে পারে। ... বিশদ
হাওড়া জেলার একেবারে পশ্চিমে অবস্থিত আমতা বিধানসভা। ২০১১ সালের আগে কল্যাণপুর ও আমতা বিধানসভার কিছুটা অংশ নিয়ে আমতা কেন্দ্রটি পুনর্গঠন করা হয়। ২০১১ ও ২০১৬ সালে বিধানসভার ভোটে এই আমতায় জিতেছিল কংগ্রেস। তবে গত দু’টি লোকসভা ভোটে এখান থেকে এগিয়ে ছিল তৃণমূল। পরবর্তীকালে ২০২১ সালে রাজ্যের আইনসভার ভোটে আমতা দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। ২৬ হাজারেরও বেশি ভোটে জয়ী হন সুকান্ত পাল।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমতা কেন্দ্রে তৃণমূল ভালো ফল করলেও বাইনান গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূলের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয় কংগ্রেস এবং আইএসএফ জোট। এবার উলুবেড়িয়া কেন্দ্রে চতুর্মুখী লড়াই হচ্ছে। এখানে তৃণমূল বিজেপির পাশাপাশি কংগ্রেস এবং আইএসএফ প্রার্থী দিয়েছে। আমতা কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোট প্রায় ৩৭ শতাংশ, তফসিলি জাতি ও উপজাতি শ্রেণির ভোট প্রায় ১৭ শতাংশ। মুণ্ডেশ্বরী নদীর উপর পাকা সেতু তৈরির মাধ্যমে দীপাঞ্চলের সঙ্গে মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ স্থাপনের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই দাবি জানিয়ে আসছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মন্ত্রী পুলক রায়ের উদ্যোগে সেই কুলিয়া সেতু আজ বাস্তবায়নের পথে। আবার বাড়ি বাড়ি পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার কাজও দ্রুতগতিতে এগচ্ছে। এছাড়াও রাজ্য সরকারের একাধিক উন্নয়ন প্রকল্প আছে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, আমতায় এগুলি ডিভিডেন্ড দেবে তৃণমূলকে। তবে ভাটোরা এবং ঘোড়াবেড়িয়ায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শাসকদলের মাথাব্যথার কারণ। পুলক রায় বলেন, এটা বিরোধীদের অপপ্রচার। আমতা বিধানসভা এলাকায় তৃণমূলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়েই কাজ করছে। তাঁর দাবি, এখানে সবকটি গ্রাম পঞ্চায়েতেই লিড পাবেন তৃণমূল প্রার্থী। যদিও বিজেপির হাওড়া গ্রামীণ জেলার সহ সভাপতি রমেশ সাঁধুখার দাবি, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমতায় তৃণমূল যেভাবে সন্ত্রাস চালিয়েছে, এবার লোকসভা নির্বাচনে তার প্রভাব পড়বে।