সংবাদদাতা, বনগাঁ: বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থীর সমর্থনে আয়োজিত মিছিল মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পরিণত হল মহামিছিলে। সোমবার বনগাঁ ত্রিকোণ পার্ক এলাকা থেকে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ বিশ্বাসের সমর্থনে মিছিল শুরু হয়। শেষ হয় এক নম্বর রেলগেট এলাকায়। কয়েক হাজার বাম ও কংগ্রেস কর্মী সেই মিছিলে পা মেলান। কর্মী-সমর্থকদের এই উপস্থিতি এবং উৎসাহ দেখে কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, ‘লড়াই হবে জোরকদমে।’ ২০১১ সালে রাজ্যে ক্ষমতার হাতবদলের আগে বনগাঁয় যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল বামেরা। ক্রমশ সারা রাজ্যের মতো এখানেও শক্তি হারাতে থাকে তারা। তারপর একটা সময় বনগাঁর রাজনৈতিক চৌহদ্দি থেকে তারা প্রায় হারিয়েই গিয়েছিল। অন্যদিকে, একদা কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত বনগাঁয় তৃণমূলের শক্তি বাড়াতেই দুর্বল হয়ে পড়ে তারা। লোকসভা নির্বাচনে বামেদের সাথে আসন রফার পর বনগাঁ কেন্দ্রে প্রার্থী দেয় জাতীয় কংগ্রেস। বসে যাওয়া বা মুষড়ে থাকা কংগ্রেস সমর্থকরা এতে কিছুটা মনোবল ফিরে পান। জোটপ্রার্থীর হয়ে জান লড়িয়ে দেওয়ার ডাক দেয় বাম নেতৃত্বও। এদিনের মিছিলের পর তাঁদের দাবি, মরা গাঙে জোয়ার আসার ইঙ্গিত মিলছে।
সিপিএমের বনগাঁ এরিয়া কমিটির সম্পাদক সমিত কর বলেন, ‘এই মহামিছিল বুঝিয়ে দিল, বনগাঁয় এবার জোর লড়াই হবে। তৃণমূলের উপর বীতশ্রদ্ধ মানুষ বিজেপিকে সমর্থন করেছিলেন। ধীরে ধীরে মানুষ বুঝতে পারছেন, তৃণমূল ও বিজেপি ভাই-ভাই। কোনও পার্থক্য নেই। তাই মানুষ বিকল্প শক্তি খুঁজছে।’ উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কংগ্রেসের (গ্রামীণ) কার্যকরী সভাপতি কৃষ্ণপদ চন্দ বলেন, ‘আজ আমরা যৌথভাবে প্রার্থী পরিচিতি করতে বেরিয়েছিলাম। মানুষের ব্যাপক অংশগ্রহণ আমাদের আশা জুগিয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বনগাঁয় আলাদা লড়াই করেছিল বাম ও কংগ্রেস। সেবার বাম প্রার্থী অলকেশ দাস ৬.৪০ শতাংশ ভোট পান। আর কংগ্রেস প্রার্থী সৌরভ প্রসাদ পান মাত্র ১.৬১ শতাংশ ভোট। তবে এবার তাদের ভোটব্যাঙ্ক অনেকটাই বাড়বে বলে আশাবাদী কংগ্রেস নেতৃত্বে।
বনগাঁর বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ বিশ্বাসের সমর্থনে মিছিল।