উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
স্থানীয় বাসিন্দা সুজয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত আড়াই বছর ধরে এই এলাকা গঙ্গায় তলিয়ে যাচ্ছে। বর্ষার মরশুমে তো বটেই বৃষ্টি তেড়ে হলেই আমরা ভয়ে থাকি। ইতিমধ্যেই অনেকটা জমি জলে তলিয়ে গিয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা কিছু উদ্যোগ নিলেও তা ভাঙনের দাপটের কাছে খুব বেশি সময় স্থায়ী হয়নি। সদ্য বুলবুলের সময় জল ফেঁপে উঠে পাঁচটি বাড়ি গিলে নিয়েছে। আমরা আতঙ্কে আছি। জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি সুমনা সরকার বলেন, খুবই উদ্বেগের বিষয়। বিস্তীর্ণ এলাকা গঙ্গার ভাঙনের ভয় নিয়ে বসত করছে। আমরা জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এনিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করব। কারণ গঙ্গা ভাঙন রাজ্যের বিষয় নয়। স্থানীয় স্তরে আমরা কিছু উদ্যোগ নিলেও লাভ হয়নি। আমরা সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে এনিয়ে সংসদে কথা বলার জন্যে আবেদন করেছি। শুধু নজরদারি ছাড়া আর কিছু করা যাচ্ছে না। ফলে খুব অসহায় লাগছে।
বলাগড়ের চরকৃষ্ণবাটি থেকে চরখয়েরমারি পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিমি সোজাসুজি গঙ্গার পাড় ধরে এলাকা গত আড়াই বছর ধরে ভাঙনের কবলে পড়ে আছে। মূলত বর্ষার সময় এখানে ভাঙনের তীব্রতা বাড়ে। প্রবল বৃষ্টি বা গঙ্গার জলস্তরের ওঠানামাতেও নদীর পাড় ভেঙে যাওয়া এখানকার নিত্য সমস্যা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গঙ্গার পাড় ভাঙতে ভাঙতে ইতিমধ্যেই বসতির দিকে অনেকখানি এগিয়ে এসেছে। চাষের জমি, বসতবাড়ির সঙ্গে ১৫ ফুট চওড়া দীর্ঘ সরকারি রাস্তা তলিয়ে গিয়েছে গঙ্গাগর্ভে। স্থানীয় একাধিক পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদের তরফে সামান্য কিছু উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা বিশেষ কার্যকরী হয়নি। ফলত, বিপুল ব্যয়ে গঙ্গার পাড় বাঁধানোর কাজের জন্যে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারস্থ হতে চাইছে জেলা পরিষদ। আর প্রতিদিন ভাঙনের আতঙ্ক নিয়ে জীবনযাপনে বাধ্য হচ্ছে গঙ্গার পাড়ে বসত করা হাজার হাজার পরিবার।