কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
সুরেন্দ্রনাথ কলেজ, মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজ, সিটি কলেজ, যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজ সহ এমন একাধিক কলেজ আছে, যেখানে একটিই ভবন। আর তাতে কোথাও দু’টি তো কোনওটিতে আবার তিনটি করে কলেজ চলে। এতে মূল যে সমস্যা হয় তা হল, যখন একটি কলেজে পরীক্ষার কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, তখন বাকি কলেজগুলির ক্লাস বন্ধ রাখতে হয়। কারণ প্রায় সব ক্লাসেই তখন পরীক্ষা চলে। সেক্ষেত্রে নিয়মিত ক্লাস হওয়া সম্ভব নয়। তার উপর এবার সিবিসিএস পদ্ধতি চালু হয়েছে। তাতে প্রতি ছ’মাস অন্তর সেমেস্টার হবে। নিয়ম মতো নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্লাসও নিতে হয়। কিন্তু এই সব কলেজগুলিতে সেই প্রক্রিয়া কার্যত ব্যাহত হচ্ছে। যেমন এই মাসে নানা পরীক্ষা আছে। ফলে যে সব জায়গায় একটি ভবনেই একাধিক কলেজ চলে, সেখানে বিক্ষিপ্তভাবে ক্লাস হবে।
সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল কর বলেন, কখনও প্রাতঃবিভাগের সময় কমে যায়, কখনও আবার দিবার ক্ষেত্রে সব ক্লাস করানো যায় না। প্র্যাক্টিক্যালের ক্ষেত্রেও পরীক্ষার সময় রুটিন ক্লাস বন্ধ রাখতে হয়। এই সমস্যাগুলি আজকের নয়। বহু বছর ধরেই চলছে। তিনটি কলেজকেই আলাদা করে দেওয়া হলে, সব সমস্যা মিটে যায়। মণীন্দ্রচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ মন্টুরাম সামন্তও এই সমস্যার কথা জানিয়েছেন। তবে পরীক্ষার ফাঁকে ফাঁকে কয়েকটি ক্লাস করানোর মতো ব্যবস্থা করে নেওয়া হয় বলে জানান তিনি। কিন্তু সার্বিকভাবে সমস্যা থেকেই গিয়েছে।
এদিকে, সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ইন্টার্নাল অ্যাসেসমেন্ট রয়েছে। শিক্ষক-অধ্যক্ষদের প্রশ্ন, ক্লাসই যদি ঠিক মতো না হয়, তাহলে পরীক্ষা নেওয়া হবে কী করে! তাছাড়া এবার ভর্তির প্রক্রিয়া মিটতে মিটতে জুলাই শেষ হয়ে গিয়েছে। সামনে আবার পুজোর ছুটি। ফলে প্রথম সেমেস্টারে মোট ক্লাস (যা করতেই হবে) কমে যাবে সেই সব কলেজে। এছাড়াও ন্যাক প্রতিনিধি দল এই সব কলেজে পরিদর্শন করতে এলে, তাদের প্রশ্নের মুখেও পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ। কেন এতদিনেও কলেজ আলাদা জমি পেল না, তা নিয়েও কটাক্ষ শুনতে হয়েছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন।