উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
কমিশন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ভোটের আগের দিন রাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বুথে পাঠানো হবে। তার আগে পর্যন্ত মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত চারদিন এলাকায় নিয়ন্ত্রণের কাজও করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রত্যেকটি থানা এলাকায় এর জন্য তিন-পাঁচ কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ব্যতিক্রম শুধুমাত্র ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানা (ইসিপিএস) এলাকাতে। সেখানে আপাতত এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। কারণ ওই থানার অন্তর্গত একটি বড় অংশে (সেক্টর ফাইভ) কোনও ভোট নেই।
আপাতত সকালে, দুপুর এবং সন্ধ্যায় তিন দফায় এলাকা নিয়ন্ত্রণের কাজ চলছে। ভোটের আগের দু’দিন রাতেও এলাকা নিয়ন্ত্রণের কাজ করবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। এছাড়াও নাকা চেকিং আরও বাড়ানো হয়েছে। বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় প্রায় ৫০টি জায়গায় নিয়মিত নাকা চেকিং চলছে। তবে কোথাও স্থায়ীভাবে নাকা চেকিং করা হচ্ছে না। হঠাৎ হঠাৎ করে কোনও এলাকায় নাকা চেকিং চলছে। কোন এলাকা উত্তেজনাপ্রবণ, সেবিষয়ে আপাতত বিধাননগর কমিশনারেটের যে তালিকা রয়েছে— তা ধরেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারি চলছে। বিশেষ করে রাজারহাট, নিউটাউন, বাগুইআটি, নারায়ণপুর এবং বিধাননগর দক্ষিণ থানা এলাকাতেই এই নজরদারি চলছে।
পরবর্তী ধাপে অবশ্য উত্তেজনাপ্রবণ নির্দিষ্ট এলাকা ভিত্তিতে টহলদারি চালানো হবে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত যা জানা যাচ্ছে, তাতে ভোটের দিন বিধাননগর কমিশনারেট এলাকায় সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। সেই সঙ্গে মোট ৬৬ সেক্টরে ভাগ করে কমিশনারেটের পুলিস নজরদারি রাখবে। ৩২টি রেডিও টেলিকমিউনিকেশন থাকবে। ১৬টি এইচআরএফএস থাকবে। এই দুটি স্তরেই বিধাননগর কমিশনারেটের লোক থাকবে। এছাড়াও ৩২টি কিউআরটি (ক্যুইক রেসপন্স টিম) থাকবে। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, বুথ ছাড়া কিউআরটি’তে কমিশনারেটের পুলিস ছাড়াও কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। ভোটের দিন কিউআরটি উত্তেজনাপ্রবণ এলাকায় ঘুরবে। এছাড়াও মোট ৫২টি জায়গায় ‘নাকা’ রাখা হবে। একাধিক কন্ট্রোল রুম খোলা হচ্ছে বলেও কমিশনের সূত্রে জানা গিয়েছে।