গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
ডানকুনি পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরসভায় প্রায় ৩৫০ জন অস্থায়ী সাফাই কর্মী রয়েছেন। প্রায় দশ বছর ধরে কাজ করার পরেও তাঁদের পুরসভার পক্ষ থেকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এছাড়া কর্মীদের মজুরি বৃদ্ধি নিয়ে পুরসভা বারবার আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। পুজোর আগে ডানকুনি পুরসভার মনিটরিং কমিটির চেয়ারম্যান তথা স্থানীয় বিধায়ক স্বাতী খন্দকার চেয়ারপার্সন হাসিনা শবনম, ভাইস চেয়ারম্যান দেবাশিস মুখোপাধ্যায় ও পুর কর্মচারী ইউনিয়ন, পুর আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের ৪০০ টাকা করে মজুরি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কিন্তু, তারপর কয়েক মাস কেটে গেলেও চেয়ারপার্সন বেতন বৃদ্ধি করেননি বলে অভিযোগ। এদিন পশ্চিমবঙ্গ পৌর কর্মচারী ফেডারেশনের ডানকুনি ইউনিটের সম্পাদক লালমোহন ঘোষ বলেন, চেয়ারপার্সন হাসিনা শবনম স্বেচ্ছাচারিতা করছেন। বিধায়কের সঙ্গে বৈঠকের পরেও উনি আমাদের সাফাই কর্মীদের বেতন বৃদ্ধি করেননি। আমাদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। আমাদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই ১ নম্বর ওয়ার্ডের তিন জন সাফাই কর্মীকে অন্য ওয়ার্ডে বদলি করা হয়েছে। প্রতিবাদ করায় ওই কর্মীদের বেতন আটকে দিয়েছেন চেয়ারপার্সন। এমনকী পুরসভার এগজিকিউটিভ অফিসার আমাদের এক কর্মীর সঙ্গে চূড়ান্ত দুর্ব্যবহার করে তাঁকে হেনস্তা করেছেন। এর প্রতিবাদেই আমাদের বিক্ষোভ। আমাদের দাবি না মানলে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পরে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।
চণ্ডীতলার বিধায়ক তথা ডানকুনি পুরসভার মনিটরিং কমিটির চেয়ারম্যান স্বাতীদেবী বলেন, সাফাই কর্মীদের সমস্যা আন্তরিকতার সঙ্গে দেখা উচিত। তাঁরা বারো মাস দিনরাত কাজ করে শহরকে পরিষ্কা- পরিচ্ছন্ন রাখেন। আমি এ ব্যাপারে হাসিনার সঙ্গে কথা বলব। চেয়ারপার্সন হাসিনা শবনম অবশ্য আন্দোলনকারীদের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, পুজোর আগে যা সিদ্ধান্ত হয়েছে তা জানুয়ারি মাস থেকে কার্যকর করা হবে। চেয়ারম্যান বলেন, পরপর তিন দিন ছুটি থাকায় এখনও পর্যন্ত এই মাসে কোনও অস্থায়ী কর্মী এখনও বেতন পাননি। খুব শীঘ্রই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বেতন দেওয়া হবে।