গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
পূজা বনগাঁ শহরের নিউ বনগাঁ গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী। বনগাঁ শহরের কুমুদিনী উচ্চ বিদ্যালয়ে তার পরীক্ষা কেন্দ্র পড়েছে। এদিন সকালে সে স্কুলে অ্যাডমিট কার্ড নিতে গিয়ে দেখে, তার অ্যাডমিট কার্ড আসেনি। তখন তার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। অ্যাডমিট কার্ড না পাওয়ার খবর বনগাঁর প্রাক্তন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক গোপাল শেঠের কানে যায়। তিনি সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি নিয়ে বনগাঁর অতিরিক্ত জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে যান। সেখান থেকে নিজের মোবাইল থেকে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ফোন করে পুরো বিষয়টি বলেন। গোপালবাবু বলেন, আমার মুখ থেকে শোনার পর শিক্ষামন্ত্রী বিষয়টি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখতে বলেন। তারপরই কল্যাণময়বাবু দ্রুততার সঙ্গে ওই ছাত্রীর রোল নম্বর তৈরি করে টেলিফোনে তা জানান। তারপর আমার গাড়িতে চাপিয়েই আমি ওই ছাত্রীকে পরীক্ষা কেন্দ্রে দিয়ে আসি। তিনি বলেন, পূজা কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় রয়েছে। আমাদের সরকারের মানবিক উদ্যোগে শেষ পর্যন্ত সে মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে পারায় আমরা সকলেই খুশি।
কিন্তু, অ্যাডমিট কার্ড পৌঁছাল না কেন? গাফিলতি কার? স্কুল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, স্কুলের তরফে ফর্ম ফিলআপ করে পাঠানো হয়েছিল। যদিও সকল ছাত্রীর অ্যাডমিট কার্ড স্কুলে এসে পৌঁছলেও ওই ছাত্রীর অ্যাডমিট কার্ড যখন আসেনি, তখন আগে থেকে স্কুল কর্তৃপক্ষ উদ্যোগী হয়নি কেন সে প্রশ্নও উঠেছে। অন্যদিকে, বনগাঁর অতিরিক্ত জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) দিব্যেন্দু পাল সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এটা স্কুলের গাফিলতির জন্যই হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পর্ষদ সভাপতির নির্দেশে ওই ছাত্রীকে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হল।