কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, গত রবিবার রাতেই সোদপুরে নিজের ভাড়া বাড়িতে খুন হয়েছে হাওড়ার কুখ্যাত দুষ্কৃতী রামুয়া। তারপর ৪৮ ঘণ্টা যেতে না যেতেই বুধবার ভোরে হাওড়ার সন্ধ্যাবাজার এলাকা থেকে হাওড়ার আর এক কুখ্যাত দুষ্কৃতী গুড্ডুর নলিকাটা মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। গুড্ডু খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিস দু’জনকে গ্রেপ্তার করে জানতে পেরেছে, রামুয়ার ভয়েই গুড্ডু দীর্ঘদিন হাওড়া শহরে ঢুকতে পারেনি। রামুয়া খুন হওয়ার পর সে হাওড়ায় নতুন করে সাম্রাজ্য বিস্তার করতে পারবে বলে আশা করেছিল। সেই কারণেই মঙ্গলবার সে হাওড়ায় ঢোকে। সেই রাতেই সে শিবপুরের চওড়া বস্তি এলাকায় একটি ধর্মীয় জলসায় যায়। সেখানে তামান্না ও পোলার্ড নামে দুই যুবকের সঙ্গে তার বচসা বাধে। দু’জনই রামুয়া গোষ্ঠীর লোক। আবার গুড্ডুর সঙ্গে যে মহিলার সম্পর্ক ছিল, তার সঙ্গে তামান্নারও সম্পর্ক ছিল। তা নিয়েও তাদের মধ্যে রেষারেষি ছিল। মঙ্গলবার গভীর রাতে মদ্যপ অবস্থায় গুড্ডু অচৈতন্য হয়ে পড়লে, তারা তাকে গলার নলি কেটে খুন করে তার দেহ ভ্যানে তুলে সন্ধ্যাবাজারে জিটি রোডের ধারে ফেলে রেখে যায়। বুধবার রাতেই তামান্নাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস।
পুলিস জেনেছে, রামুয়া এলাকায় ঢুকতে না পারলেও তার সাম্রাজ্য তারই এক ঘনিষ্ঠ লোক দেখাশোনা করত। এখনও সে এই সাম্রাজ্য চালাচ্ছে। রামুয়ার গোষ্ঠীতে অন্তত ২০ জন অপরাধী রয়েছে। তারা বিভিন্ন এলাকায় প্রোমোটার ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তোলাবাজি চালাচ্ছে। আবার হুগলির রমেশ মাহাতর গোষ্ঠীও হাওড়ায় সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। তারা মূলত বালি থেকে সালকিয়া পর্যন্ত এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে রেখেছে। রামুয়া গোষ্ঠী ওই এলাকায় এক সময় দাপট দেখালেও এখন রমেশের লোকজনের ভয়ে যেতে পারছে না। তার উপর রামুয়া খুন হওয়ায় তার গোষ্ঠী কিছুটা ধাক্কা খেয়েছে। এই সুযোগে রমেশের লোকজন শিবপুর এলাকায় প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা করছে। গুড্ডু সেই কাজটাই করতে এসেছিল। তারপরই তাকে খুন হতে হয়।