কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
তামাক ও কাগজ ব্যবসা থেকে শুরু করে হোটেল, তথ্যপ্রযুক্তি বা ভোগ্যপণ্যের ব্যবসার বিস্তারে আইটিসি’কে আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য গোটা শিল্পমহলই কুর্নিশ করে ওয়াইসি দেবেশ্বরকে। সংস্থার বর্তমান ম্যানেজিং ডিরেক্টর সঞ্জীব পুরি তাঁর শোকবার্তায় সেই কথাই মনে করিয়ে দিয়েছেন আরও একবার। তিনি বলেন, ভারতীয় সংস্থা ও ব্র্যান্ডকে কীভাবে গোটা বিশ্বের তাবড় সংস্থাগুলির সমতুল করে তোলা যায়, তার দৃষ্টান্ত রেখে গেলেন প্রয়াত চেয়ারম্যান।
দেবেশ্বরের এই উদ্যোগের কথা স্বীকার করেছেন মুখ্যমন্ত্রীও। তিনি শোকবার্তায় জানিয়েছেন, বিগত কয়েক দশক ধরে তিনি আইটিসিকে বিশ্বের শিল্প মানচিত্রে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন। পাশাপাশি শিল্পক্ষেত্রে এবং বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নে তাঁর ভূমিকা ছিল অসামান্য। তাঁর মৃত্যুতে বিশ্বের শিল্পজগৎ, বিশেষত কর্পোরেট দুনিয়ায় এক অপূরণীয় শূন্যস্থানের সৃষ্টি হল। তিনি ছিলেন আমার কাছের মানুষ। তাঁর সঙ্গে আমার অত্যন্ত সুসম্পর্ক ছিল। আমি তাঁর মৃত্যুতে অত্যন্ত মর্মাহত। প্রসঙ্গত, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দেবেশ্বরকে রাজ্য সরকারের সর্বোচ্চ সম্মান বঙ্গবিভূষণে ভূষিত করেন।
১৯৬৮ সালে আইটিসি’তে যোগ দেন ওয়াইসি দেবেশ্বর। সেই সংস্থার সর্বোচ্চ পদে দু’দশকেরও বেশি থাকার পাশাপাশি দেবেশ্বর রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সেন্ট্রাল বোর্ডের ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেছেন। ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়ার সর্বোচ্চ পদে সিএমডি হিসেবে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব সামলেছেন। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের বোর্ড অব ট্রেড এবং ন্যাশনাল ফুড প্রসেসিং ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন দিল্লি আইআইটি এবং হার্ভার্ড বিজনেস স্কুলের এই কৃতী প্রাক্তনী। আজীবন কৃতিত্বের জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ২০১১ সালে দেবেশ্বরকে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করে। বিশ্বের সেরা সিইও’দের তালিকায় সাত নম্বরে উঠে আসেন তিনি। পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে যেমন বহু পুরস্কার পেয়েছিলেন দেবেশ্বর, তেমনই নানা দেশীয় শিল্প সংগঠন থেকেও তাঁকে স্বীকৃতি জানানো হয়েছে।