হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
ধৃতদের প্রত্যেকেরই বাড়ি গাজোল থানা এলাকায়। ধৃত নেত্রী চক্রের অন্যতম মাথা বলে পুলিস জানিয়েছে। বাকিদের বয়স ত্রিশের আশপাশে। এব্যাপারে মালদহ জেলা মহিলা তৃণমূল সভানেত্রী চৈতালি সরকার বলেন, ওই মহিলা আমাদের সংগঠনের নেত্রী হিসাবে এলাকায় কাজ করতেন। তবে বর্তমানে কোনও ব্লকেই কোনও কমিটি নেই। ফলে তাঁরও কোনও পদ ছিল না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত কাউকে আমাদের দল বা সংগঠনে রাখা যাবে না। মালদহের পুলিস সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, মধুচক্র চালানোর অভিযোগ পেয়ে মঙ্গলবার রাতে পুলিস সিঙ্গাতলা এলাকায় অভিযান চালায়। ধৃতদের আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিস চারজনকে প্রথমে আটক ও পরে গ্রেপ্তার করে। ওই মহিলা চক্রের মাথা। সে বাকিদের জড়ো করেছিল। ভবিষ্যতেও মধুচক্রের বিরুদ্ধে পুলিস কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
সম্প্রতি ইংলিশবাজার শহর এবং লাগোয়া এলাকায় মধুচক্রের রমরমা বেড়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পুরুষ এবং মহিলারা ওই চক্রে নাম লেখাচ্ছে। অভিযোগ, ওই চক্রে পুলিসের একাংশের মদত রয়েছে। ইংলিশবাজার শহরের কয়েকটি ভাড়া বাড়ি ও ফ্ল্যাটে মধুচক্র চলে। আগে শহরের লজ ও হোটেলগুলিতে রমরমিয়ে ওই ব্যবসা চলত। সেখানে নজরদারি বেড়ে যাওয়ায় চক্রের সঙ্গে জড়িতরা এখন ফাঁকা ফ্ল্যাট এবং নির্জন এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে কারবার চালাচ্ছে। সেখানে পুরুষ এবং মহিলাদের জড়ো করা হয়। এই ব্যবসার মাথাদের মধ্যে বেশিরভাগই মহিলা।
মালদহ জেলা পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, আগে টাকার জন্য গরিব পরিবারের মেয়েরা মধুচক্রে যোগ দিত। বর্তমানে অবস্থাপন্ন ঘরের গৃহবধূরাও মধুচক্রের আসরে নাম লেখাচ্ছেন। টাকা রোজগারের পাশাপাশি নিছক নেশার বসে তারা এই পথে পা বাড়াচ্ছে বলে বিভিন্ন সময় ধৃতদের আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পেরেছি। অনেক সময় কলেজের ছাত্রছাত্রীরাও এই পথে নামছে। মেস এবং হস্টেলে থাকা ছাত্রীদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা গিয়েছে। বাড়ির বাইরে থাকার ফলে তাদের অনেক খরচ হয়। আর্থিক সঙ্গতি না থাকা সত্ত্বেও অনেকের মধ্যে উচ্চবিত্তদের মতো জীবনযাপনের আকাঙ্খা থাকে। তারা ঘনঘন দামি মোবাইল ফোন পাল্টায়। পোশাক পরিচ্ছদ, প্রসাধনী সামগ্রীর পিছনেও মোটা টাকা খরচ করে। অথচ সেই টাকা বাড়ি থেকে পায় না। ফলে টাকার জন্যই তারা এই পথে নামে। মক্ষীরানিরাও তাদের জন্য ফাঁদ পেতে বসে থাকে। সেই ফাঁদে তারা পা দেয়। শহরের মধ্যে এধরণের ঘটনা কখনও কাম্য নয়।