গুরুজনের চিকিৎসায় বহু ব্যয়। ক্রোধ দমন করা উচিত। নানাভাবে অর্থ পাওয়ার সুযোগ। সহকর্মীদের সঙ্গে ঝগড়ায় ... বিশদ
কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে স্নাতক স্তরের প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বর্ষের সব পরীক্ষার্থীই এই ডিজিটাল পরীক্ষা ব্যবস্থায় চটজলদি প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন। পরীক্ষা শেষ হওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যেই প্রকাশিত হচ্ছে ফলাফল। পরীক্ষা ব্যবস্থার দীর্ঘসূত্রিতা থেকে মুক্ত হওয়ায় এই ডিজিটাল পরীক্ষা পদ্ধতিকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রায় সব পরীক্ষার্থীই। মালদহ কলেজ অ্যাপ এবং গুগল ব্যবহার করে এই পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ২০১৯ সালে প্রথমবার এই অ্যাপ নির্ভর পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হয়েছে উত্তরবঙ্গের অন্যতম বৃহত্তম এই কলেজে। ৪ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছিল স্নাতক তৃতীয় বর্ষের টেস্ট পরীক্ষা। ১২ তারিথ থেকে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় বর্ষের টেস্ট। প্রথম বর্ষের পরীক্ষার্থীরা এই ডিজিটাল ব্যবস্থায় পরীক্ষা দেবেন ১৭ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি।
মালদহ কলেজের অধ্যক্ষ মানস বৈদ্য জানিয়েছেন, পাস কোর্স এবং অনার্সের সব পরীক্ষার্থীই এই ডিজিটাল পরীক্ষা পদ্ধতিতে পরীক্ষা দিয়েছেন এবং দেবেন। মূলত অতি সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্নগুলির উত্তরই এখন এই ব্যবস্থার মাধ্যমে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। মাল্টিপল চয়েস কোশ্চেন বা এমসিকিউ ব্যবস্থায় এই পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে। সাধারণত স্নাতক স্তরের পরীক্ষা চলে চার ঘণ্টা। এসময়ের মধ্যে নির্দিষ্ট আধ ঘণ্টা বরাদ্দ থাকছে এমসিকিউ পর্বের জন্য। নিজেদের রোল নম্বর দিয়ে লগ ইন করলেই অ্যাপ বা কম্পিউটারের মাধ্যমে পরীক্ষার্থীরা দেখতে পাচ্ছেন নির্দিষ্ট প্রশ্নপত্র। ৩০ মিনিটের মধ্যে তাঁরা উত্তর দিচ্ছেন প্রশ্নগুলির। একবার অনলাইনে উত্তর জমা দিয়ে দিলে ওই নির্দিষ্ট পরীক্ষার্থীর জন্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পরীক্ষা।
অধ্যক্ষ বলেন, এই অ্যাপটি আমাদের কলেজের শিক্ষকরাই কঠোর পরিশ্রম করে নিজেরাই তৈরি করেছেন। আমাদের ছাত্রছাত্রীদের ৯৮ শতাংশই ইদানিং স্মার্ট ফোন ব্যবহার করেন। তাঁদের সম্মতি নিয়েই এই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। যাঁদের নিজস্ব স্মার্টফোন নেই তাঁরা তাঁদের সহপাঠীদের ফোনটি চেয়ে নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছেন। এরপরেও অসুবিধা হলে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীকে কলেজের কম্পিউটার ল্যাবরেটরি বিনামূল্যে ব্যবহারের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। কলেজের পক্ষ থেকে সব পরীক্ষার্থীকে বিনামূল্যে ওয়াইফাই ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছি। ফলে কোনও অভিযোগ আসেনি। এই পরীক্ষা ব্যবস্থার জন্য ছাত্রছাত্রীদের অতিরিক্ত অর্থও দিতে হচ্ছে না বলেও জানিয়েছেন অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, স্মার্ট পদ্ধতিতে এই পরীক্ষার সব সুবিধাই পাচ্ছেন পরীক্ষার্থীরা। তাঁরা বিপুলভাবে সাড়া দিচ্ছেন। মালদহ কলেজ কর্তৃপক্ষের দাবি, অ্যাপ নির্ভর এই পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু হওয়ার ফলে একদিকে যেমন কাগজ কালির বিপুল খরচ বাঁচানো যাচ্ছে তেমনই অত্যন্ত দ্রুত ফল প্রকাশ সম্ভব হচ্ছে। মালদহ কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, এই ডিজিটাল এমসিকিউ পরীক্ষা ব্যবস্থা রাজ্যের মধ্যে প্রথম। শুধু কলেজ নয়, এই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় স্তরেও এই ব্যবস্থা কোথাও চালু হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। তিনি জানান, আগামীতে পরীক্ষার রুটিন এবং মার্কশিটের কপিও অ্যাপের মাধ্যমে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অঙ্কিতা দত্ত বলেন, এই অ্যাপ নির্ভর পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু করে কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের সুবিধা করে দিয়েছেন। দ্রুত ফল প্রকাশ হওয়ায় আমাদেরও সুবিধা হচ্ছে।