কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
টাইম ম্যাগাজিনের এবারের নিবন্ধটি লিখেছেন মনোজ লাডওয়া। লন্ডনের মিডিয়া সংগঠন ইন্ডিয়া ইঙ্ক গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্তা তিনি। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির প্রচার কর্মসূচির রিসার্চ অ্যানালিসিস অ্যান্ড মেসেজিং ডিভিশনের নেতৃত্বও দিয়েছিলেন লাডওয়া। টাইম ম্যাগাজিনে তাঁর লেখা নিবন্ধের শিরোনাম হয়েছে, ‘বিগত কয়েক দশকে আর কোনও প্রধানমন্ত্রী মোদির মতো ঐক্যবদ্ধ করতে পারেননি ভারতকে’। নিবন্ধে লাডওয়া লিখেছেন, অনেক ক্ষেত্রে অমূলক হলেও প্রথম দফায় সরকার চালানোর সময়, এমনকী ভোটের দীর্ঘ প্রচার পর্বে মোদির নীতিগুলি নিয়ে কড়া সমালোচনা হয়েছে। তা সত্ত্বেও বিগত প্রায় পাঁচ দশকে আর কোনও প্রধানমন্ত্রী ভারতীয় ভোটারদের মোদির মতো ঐক্যবদ্ধ করতে পারেননি। ভারতের সবচেয়ে বড় ফাটল হল শ্রেণী বিভাজন। এই শ্রেণী বিভাজন অতিক্রম করতে পেরেছেন তিনি। সেজন্যই এই বিশাল জনাদেশ এসেছে মোদির পক্ষে।
লাডওয়ার এই নিবন্ধটি প্রকাশিত হয়েছে টাইম আইডিয়া বিভাগে। সংবাদ, সমাজ ও সংস্কৃতি সংক্রান্ত মতামতধর্মী লেখা প্রকাশিত হয়ে এই বিভাগে। লাডওয়া তাঁর নিবন্ধে লিখেছেন, বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের নেতা হিসেবে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করতে চলেছেন মোদি। তাঁর সামনে এখনও অনেক কাজ বাকি। প্রথম দফায় ভারতীয় আমলাতন্ত্রে অদক্ষতা ও দুর্নীতির ভয়ঙ্কর সব গর্ত চাপা দিয়েছেন মোদি। সেই সব প্রতিষ্ঠানের আরও নির্দয়ভাবে সংস্কার ঘটিয়ে আগামী দশকগুলির যোগ্য করে তোলার দিকে এখন তাঁর নজর দেওয়া প্রয়োজন। এজন্য বাস্তববাদী রাজনীতিকের ভূমিকা জারি রাখতে হবে মোদিকে। দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসেছেন। জনমোহিনী রাজনীতির প্রলোভন থেকে এবারও দূরে থাকতে হবে তাঁকে। মোদি সরকারের সাফল্যগুলি এখনও ‘নির্মীয়মাণ’ স্তরে রয়েছে। তবে তাঁর সরকারের প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিয়েছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক, আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার ও রাষ্ট্রসঙ্ঘ সহ প্রায় প্রতিটি আন্তর্জাতিক সংগঠন। সামাজিক অস্থিরতার ঘটনাগুলি নিয়ে নীরব থাকার জন্য মোদিকে হয়তো সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। তবে ভারতে বিভাজনের কিছু প্রধান কারণগুলির সমাধানের জন্য দেশের ভোটাররা ব্যালট বাক্সে তাঁর কাজের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। ভোটারদের কাছে নয়া ভারত গঠনে মোদির দেখানো স্বপ্ন এখনও পুরোপুরি অটুট।