বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে বিঁধতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের পুরনো একটি সাক্ষাত্কারকে হাতিয়ার করল কংগ্রেস। প্রধান বিরোধীদলের দাবি, ২০১০ সালের ওই সাক্ষাত্কারে দোভাল কান্দাহারের বিমান অপহরণের পর জয়েশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে মুক্তি দেওয়ার জন্য তত্কালীন বিজেপি সরকারের সমালোচনা করেছিলেন। পাশাপাশি ওই জঙ্গিকে নিরাপরাধ বলেও উল্লেখ করেছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ।
প্রসঙ্গত, সোমবার দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী জয়েশ প্রধানকে ‘মাসুদ আজহার জি’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। তারপরই এই বক্তব্য নিয়ে রাহুলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে বিজেপি নেতৃত্ব। তার পাল্টা হিসেবে দোভালের ওই সাক্ষাতকারকে সামনে এনে কংগ্রেসের শীর্ষনেতৃত্ব দাবি করেছে, দলীয় সভাপতির মজা করে কিছু বক্তব্যকে বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত করে পরিবেশন করছে।
মঙ্গলবার, এই বিষয়ে নিয়ে টুইট করেছেন কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ দোভালের ওই সাক্ষাত্কারকে দেশবিরোধী কাজ হিসেবে বিবেচনা করবেন কি না, কটাক্ষের সুরে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এদিন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বেশ কয়েকটি ট্যুইট করেছেন সুরজেওয়ালা।
‘মাসুদ জানতেন না কীভাবে আইইডি তৈরি করা হয়’, ‘মাসুদ কোনও ‘মার্কসম্যান’ নয়’, ‘মাসুদকে মুক্তি দেওয়ার পর কাশ্মীরের পর্যটন ২০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল’ - ওই সাক্ষাত্কারে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এমনই সব মন্তব্য করেছেন বলে জানান কংগ্রেস মুখপাত্র। পাশাপাশি তাঁর দাবি, দোভাল কংগ্রেস সরকারের আমলে সন্ত্রাসবাদ রোধে জাতীয়তাবাদী নীতির প্রশংসা করেছেন।
মঙ্গলবার এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ফের তোপ দেগেছেন রাহুল গান্ধী। কটাক্ষের সুরে তিনি জানান, ‘৫৬ ইঞ্চির ওই ব্যক্তি’ নিশ্চয়ই মনে করতে পারবেন, তাদের আগের এনডিএ সরকারের আমলে বর্তমান নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাসুদের সঙ্গে এক বিমানে গিয়ে তাকে কান্দাহারে ছেড়ে এসেছিলেন। সেই মাসুদের সংগঠন জয়েশের আত্মঘাতী হামলায় জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ৪৯ জন আধাসেনা শহিদ হয়েছিলেন। তবে, সূত্রের খবর, ওই বিমানে দোভাল ছিলেন না। তালিবানের সঙ্গে রফা করতে তিনি আগেই আফগানিস্তানে চলে যান। রফা টিমে ছিলেন দোভাল।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৮ সালে কান্দাহারে অপহৃত বিমানে আটকে পড়েছিল ভারতীয়রা। তাদের মুক্ত করতে মাসুদ ছাড়া আরও দুই জঙ্গিকে মুক্তি দিয়েছিল তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ীর নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরই মাসুদ পাকিস্তানে জঙ্গিগোষ্ঠী জয়েশ-ই-মহম্মদ তৈরি করে। তারপর থেকে ভারতে একাধিক নাশকতা চালিয়েছে তার সংগঠন। পুলওয়ামা ছাড়াও ২০০১ সালে সংসদভবন হামলা, ২০১৬-তে পাঠানকোট এয়ারবেসে ও উরিতে হামলা চালিয়েছিল জয়েশ।