বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
ফরওয়ার্ড ব্লক সূত্রের খবর, কেরলে বাম শিবির থেকে বেরিয়ে গিয়ে বছর কয়েক আগেই ফরওয়ার্ড ব্লক কংগ্রেসের জোটে শামিল হয়। প্রথমে না থাকলেও পরে কংগ্রেস তাদের অনুরোধ মেনে জোটের শরিক দলের মর্যাদা দেয়। সেই মর্যাদার ভিত্তিতে এবার লোকসভা ভোটে একটি আসন দাবি করেছিল ফরওয়ার্ড ব্লকের মালয়ালি নেতৃত্ব। এব্যাপারে তাদের পছন্দের আসন ছিল আটিঙ্গাল কেন্দ্রটি। এনিয়ে তারা প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে দু’বার দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করে সম্প্রতি। কিন্তু ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের সময় তাদের দাবি বিবেচনা করার আশ্বাস দিয়ে কংগ্রেস আপাতত ফরওয়ার্ড ব্লকের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে। কিন্তু তারপরও দলের রাজ্য কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দেশ ও রাজ্যের রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিশেষ করে কেরলে বিজেপি’র ক্রম উত্থানের ইঙ্গিত পেয়ে তারা কংগ্রেস জোটের সঙ্গে থাকাই শুধু নয়, রীতিমতো তাদের হয়ে প্রচারের পক্ষেও সওয়াল করেছে।
তামিলনাড়ুর কিছু এলাকায় সুভাষচন্দ্র এবং মথুরালিঙ্গম থেবর (দক্ষিণের নেতাজি)-এর মতো দেশবরেণ্য স্বাধীনতা সেনানির দৌলতে ফরওয়ার্ড ব্লকের সমর্থক রয়েছে। একদা তাদের বিধায়কও ছিল মাদুরাই তল্লাটে। সেই ইতিহাসকে সামনে রেখে এবার ডিএমকে-কংগ্রেস জোটের শরিক হিসেবে একটি আসনে লড়ার ইচ্ছা ছিল তাদের। কিন্তু রাজ্য ফরওয়ার্ড ব্লকের সেই ইচ্ছা অপূর্ণই থাকছে স্টালিন-রাহুল গান্ধীর দলের তরফে কোনও ইতিবাচক সাড়া না পাওয়ায়। তবে তাতে কোনও খেদ নেই ফরওয়ার্ড ব্লকের তামিল নেতৃত্বের। মঙ্গলবার রাজ্য কমিটির বৈঠকে তারা এই জোটের পক্ষে থাকারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অফার থাকলেও তারা দিনাকরণের নেতৃত্বাধীন বিক্ষুব্ধ এআইএডিএমকে’র ছোট জোটে না যাওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছে। তবে রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। শেষ চেষ্টা হিসেবে তার মধ্যে একটি আসন পাওয়ার আশায় রয়েছে তারা। আজ কন্যাকুমারীতে স্টালিন-রাহুলের সভামঞ্চে দলের সর্বভারতীয় ডেপুটি চেয়ারম্যান কাথিরাভনের হাজির থাকারও কথা রয়েছে।
দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে যখন দলের এই অবস্থান, তখন পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেস সম্পর্কে ফরওয়ার্ড ব্লকের এহেন অনড় ছুঁৎমার্গ নিয়ে প্রত্যাশিতভাবেই চর্চা শুরু হয়েছে। কংগ্রেস শিবিরে এই চর্চা বেশি করে চলছে। যদিও প্রদেশ সভাপতি সোমেন মিত্র বিনীতভাবেই ফোনে ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে আসন জটিলতা কাটানোর প্রস্তাব দিয়ে মুখোমুখি বৈঠকে বসার প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে কংগ্রেসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় যাওয়ার কোনও উদ্যোগ বা আগ্রহ নরেনবাবুরা দেখাচ্ছেন না। উল্টে মঙ্গলবার পর্যন্ত যে আসনটি নিয়ে তাঁদের সঙ্গে মূলত সংঘাত, সেই পুরুলিয়া সহ কোটার তিন কেন্দ্রেই লড়াই করবেন বলে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন বাম নেতৃত্বকে।