দেরাদুন, ১২ মার্চ (পিটিআই): সার্জিকাল স্ট্রাইক থেকে বালাকোট হামলা- সব কিছুরই নেপথ্য নায়ক একজনই। তিনি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। বিরোধীরা অবশ্য সিবিআইয়ের অন্দরে ঝামেলা সহ বিভিন্ন ইস্যুতে তাঁর দিকে অভিযোগ তুলেছেন। দেশে স্থিতিশীল সরকার থাকার পক্ষপাতী সেই দোভালের ছেলেকে উত্তরাখণ্ডে প্রার্থী করার কথা ভাবছে বিজেপি। সূত্রের খবর, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এই রাজ্যের দু’টি আসনে প্রার্থী বদল করতে চলেছে তারা। গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরাখণ্ডের পাঁচটি আসনেই জিতেছিল বিজেপি। পাউরি এবং তেহরি কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন যথাক্রমে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভুবন চন্দ্র খান্ডুরি এবং রাজপরিবারের সদস্য মালা রাজ্যলক্ষ্মী শাহ। জানা গিয়েছে, শারীরিক অসুস্থতার কারণে আর নির্বাচনে লড়তে চান না বলে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে বার্তা পাঠিয়েছেন খান্ডুরি। দলীয় সূত্রে খবর, এই আসনে প্রার্থী হিসেবে দু-তিন জনের নাম উঠে এসেছে। তার মধ্যে অন্যতম অজিত দোভালের ছেলে শৌর্য দোভাল। আলোচনায় রয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী সতপাল মহারাজ বা তাঁর স্ত্রী অমৃতা রাওয়াত এবং নেহরু ইনস্টিটিউট অব মাউন্টেনিয়ারিংয়ের প্রাক্তন ডিরেক্টর অজয় কোঠিয়ালের নামও। কয়েকমাস আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন অজয়। এদিকে, শৌর্য দোভাল ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন এমন জল্পনা ছিলই। উল্লেখ্য, তাঁর সংস্থা ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশনের সঙ্গে জড়িয়ে ছিলেন মোদি সরকারের চার জন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। শুধু তাই নয় শৌর্যর একটি ব্যবসার অংশীদার এক পাকিস্তানি বলেও অভিযোগ তুলেছিল কংগ্রেস। তবে দোভাল-পুত্রের তুলনায় ওই আসনে সতপাল মহারাজের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলেই মনে করছে রাজ্য বিজেপির নেতারা।
এদিকে, রাজ পরিবারের ভোটব্যাঙ্ক থাকলেও তেহরি কেন্দ্রের সংসদ সদস্য মালা রাজ্যলক্ষ্মী শাহের বিরুদ্ধে কাজ না করার অভিযোগ উঠেছে। ফলে এবার তাঁর পক্ষে এই আসনে জেতা কঠিন বলেই মনে করছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। তাই তাঁকে সরিয়ে ওই আসনেও নতুন মুখ দাঁড় করানো হতে পারে। যদিও, রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে এই আসনের জন্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় বহুগুণার নাম প্রস্তাব করা হয়েছে বলে খবর। ২০১৬ সালে হরিশ রাওয়াত সরকারের পতনের পিছনে তাঁর ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। তারই পুরস্কার পেতে পারেন তিনি। অন্যদিকে, আলমোড়া আসনে বর্তমান এমপি তথা বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী অজয় টামটার জনপ্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে দলের অন্দরে। তবে আলমোড়া আসনটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত হওয়ায় সেখানে বিকল্প প্রার্থী পাওয়া সহজ নয়। সব নিয়ে জল্পনা চললেও প্রার্থী তালিকা নিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র মুন্না সিং চৌহান।