বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি হবে কালাশনিকভ। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ডের সঙ্গে রাশিয়ার চুক্তি হয়েছে। দেশের নিরাপত্তার কাজে ব্যবহারের পাশাপাশি ভিন দেশেও রপ্তানি করা যাবে কালাশনিকভ। চুক্তিতে তেমনই উল্লেখ রয়েছে। জানা গিয়েছে, আমেথির কোরওয়া অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিতে সাত লক্ষ ৫০ হাজার কালাশনিকভ রাইফেল তৈরি হবে। চুক্তি মতো ৭.৬২x৩৯ এমএম ক্যালিবার একে ২০৩ রাইফেল তৈরিতে সম্মত হয়েছে ভারত-রাশিয়া। এই অত্যাধুনিক কালাশনিকভ রাইফেল অনেকটা একে ৪৭’র মতো দেখতে হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কিন্তু প্রশ্ন হল কালাশনিকভ রাইফেল তৈরিতে কেন আমেথিকেই বেছে নিল মোদি সরকার? সংবাদ মাধ্যমের খবর, এই রাইফেল তৈরির যৌথ প্রকল্পে প্রথমে আদানি শিল্পগোষ্ঠীকে শামিল করার প্রস্তাব উঠেছিল। পরে সামনে চলে আসে রাফাল ইস্যু। সেই ইস্যুতে আম্বানি শিল্পগোষ্ঠীকে জড়িয়ে মোদি-বিরোধিতার ঝাঁঝ ক্রমশ বাড়াতে থাকে কংগ্রেস। কেন্দ্রের গায়ে ‘শিল্পপতি-সরকার’ তকমা সাঁটিয়ে মোদিকে আক্রমণের সুর সপ্তমে তোলেন রাহুল। শুধু তাই নয়, রাফাল চুক্তিতে যুদ্ধবিমান নির্মাণকারী সংস্থা ‘হ্যাল’কে অবহেলা করে একটি শিল্পগোষ্ঠীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করে আসছেন কংগ্রেস সভাপতি। এই পরিস্থিতিতে কালাশনিকভ তৈরিতে আরও কোনওপ্রকার ঝুঁকি নিতে চায়নি মোদি সরকার। যা রাজনীতির ময়দানে বিড়ম্বনায় ফেলতে পারে গেরুয়া শিবিরকে। তাই ১২ হাজার কোটি টাকার যৌথ রাইফেল প্রকল্পে আমেথির কোরওয়া অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরিকে যুক্ত করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ‘এক ঢিলে দুই পাখি’ মারার কৌশল নিলেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।