বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
ঋণের টাকা ফেরানোর ইস্যুতে বৃহস্পতিবার একঝাঁক ট্যুইট করেন মালিয়া। সেখানে তিনি লেখেন, সবিনয়ে জানতে চাই, টাকা ফেরানোর যে প্রস্তাব আমি রেখেছি, প্রধানমন্ত্রী কেন ব্যাঙ্কগুলিকে তা গ্রহণের নির্দেশ দিচ্ছেন না? তাতে অন্তত কিংফিশার যে ঋণ নিয়েছিল, জনগণের সেই টাকা সম্পূর্ণভাবে রাজকোষে ফেরানোর কৃতিত্ব তিনি দাবি করতে পারবেন। উল্লেখ্য, আদালতের ভিতরে ও বাইরে মালিয়া বারবার দাবি করছেন, ঋণের টাকা ফেরানোর বিষয়ে ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে বিবাদের নিষ্পত্তিতে তিনি আন্তরিক। কিন্তু টাকা ফেরানো নিয়ে তাঁর রাখা প্রস্তাব অজানা কারণে গ্রহণ করা হচ্ছে না। এই অনাগ্রহের পিছনে রাজনৈতিক কারণ থাকতে পারে। মালিয়ের এদিনের ট্যুইটে কার্যত একই দাবির প্রতিফলন হল। দেশ ছেড়ে ব্রিটেনে আশ্রয় নেওয়া মালিয়ার প্রত্যর্পণের বিষয়ে গত ১০ ডিসেম্বর সায় দিয়েছিল ওয়েস্টমিনস্টার ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত। তার ভিত্তিতে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ গত ৪ ফেব্রুয়ারি সিদ্ধান্ত নেন, মালিয়াকে ভারতে প্রত্যর্পণ করা হবে। যদিও ব্রিটিশ সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আবেদনের সুযোগ রয়েছে মালিয়ার সামনে। সেই মতো কোর্ট অব আপিলে ১৪ দিনের মধ্যে আবেদন জানাতে হবে ফেরার এই ব্যবসায়ীকে। মালিয়ার আইনজীবীদের দল বর্তমানে সেই আবেদন পেশের তোড়জোড় চালাচ্ছেন। তারই মধ্যে এদিন ফের এই লিকার ব্যারনের ট্যুইট সামনে এল। মালিয়ার দাবি, জনগণের টাকা লুট করে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন, সংবাদমাধ্যমের এই ব্যাখ্যায় তিনি বীতশ্রদ্ধ। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যেও তিনি এদিন বেশ কয়েকটি ট্যুইট করলেন। সেখানে লিখেছেন, সংসদে প্রধানমন্ত্রীর সর্বশেষ ভাষণ আমার নজরে এসেছে। তিনি নিশ্চিতভাবেই খুব ভালো বক্তা। দেখলাম নাম না করে তিনি বললেন, একজন ৯ হাজার কোটি টাকা নিয়ে ‘পালিয়েছেন’। সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট থেকে আমার মত, তাঁর এই মন্তব্য আমার প্রসঙ্গেই। আমি আগেই মহামান্য কর্ণাটক হাইকোর্টে টাকা ফেরত দিতে চেয়ে আমার প্রস্তাব রেখেছি। আমার এই প্রস্তাবকে লঘুভাবে বিচার করে খারিজ করা যায় না। আমার দেওয়া প্রস্তাব সম্পূর্ণভাবে বাস্তবসম্মত। ব্যাঙ্কগুলি কেন এই প্রস্তাব মেনে কিংফিশার এয়ারলাইন্সকে দেওয়া ঋণের টাকা ফেরত নিচ্ছে না?
নিজের সম্পত্তি লুকিয়ে রেখেছেন, ইডির এই বক্তব্যেরও এদিন বিরোধিতা করেছেন মালিয়া। তিনি লিখেছেন, সম্পত্তি যদি লুকানো থাকে, তাহলে আদালতের সামনে কীভাবে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তির খতিয়ান প্রকাশ্যে পেশ করলাম? মানুষকে এইভাবে ভুল বোঝানো লজ্জাজনক। তবে তাতে অবাক হয়নি। চলতি মাসের প্রথম দিকে মালিয়ার বক্তব্য ছিল, তাঁর ১৩ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ক্রোক করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও ৯ হাজার কোটি টাকা নিয়ে দেশ ছেড়ে পালানোর অভিযোগ কতটা যুক্তিসম্মত?