পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি।প্রতিকার: আজ দই খেয়ে শুভ ... বিশদ
এদিকে কেবল সুধাকর রেড্ডিই নন, সিপিআইয়ের শীর্ষ নেতৃত্বে থাকা একমাত্র বাঙালি মুখ তথা কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পল্লব সেনগুপ্ত’ও দলের যাবতীয় পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে সাধারণ সম্পাদককে চিঠি দিয়েছেন। বড়জোর চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি দিল্লির অজয় ভবনে বসে এই সমস্ত পদের দায়িত্ব সামলাতে পারবেন বলে চিঠিতে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন পল্লববাবু। যদিও তাঁর ওই চিঠি পেয়ে সাধারণ সম্পাদক পল্লববাবুকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ করেছেন। তবে ৭০ ছুঁইছুঁই এই নেতা একান্ত বৈঠকে সুধাকরকে স্পষ্ট জানিয়েছেন, আমরা মুখে নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বকে সুযোগ দেওয়ার কথা বলব। কিন্তু বাস্তবে তার উল্টো পথে হেঁটে পদ আঁকড়ে বসে থাকারা প্রবণতা প্রকট হয়েছে দলে। দীর্ঘ ৩৮ বছর বাংলা ছেড়ে এসে হয় দিল্লিতে, না হয় বিদেশের মাটিতে রাজনীতি করছি। এরপর আর নয়। এবার পরিবারকে সময় দিতে হবে। তাই দলের সাধারণ সদস্য হিসেবে যা ভূমিকা পালন করার, তা করব। দলীয় সূত্রের খবর, লোকসভা ভোটে বসিরহাট কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে চতুর্থ স্থান পাওয়ার পর থেকে বেজায় মনকষ্টে থাকার পরই তিনি নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সুধাকর অবশ্য পল্লববাবুর যুক্তি মানতে চাননি। আগামী বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলী এবং তারপর দিন থেকে শুরু হতে চলা তিনদিনের জাতীয় কাউন্সিলের বৈঠকে এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে বলে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন অজয় ভবনের বাঙালি নেতাকে।
সিপিআই সূত্রের খবর, পল্লববাবুর পদত্যাগের বিষয়টি কিছুটা ঝুলে থাকলেও সাধারণ সম্পাদক পদে নতুন মুখ আসা প্রায় চূড়ান্তই। এই মুহুর্তে জাতীয় স্তরে দলে সার্বিকভাবে গ্রহণযোগ্য তেমন কোনও নেতা নেই যিনি এই পদের দায়িত্ব সামলাতে পারবেন। বিশেষ করে তামিলনাড়ু ও কেরলের মতো দক্ষিণী রাজ্যগুলির পার্টি নেতৃত্বের একটা বড় অংশ রাজাবিরোধী বলে পরিচিতি দলের ভিতরে। ছ’বছর আগে জয়ললিতার এআইএডিএমকের সমর্থন নিয়ে তাঁর রাজ্যসভায় যাওয়া নিয়েও নেতৃত্বের একাংশ বেজায় ক্ষুব্ধ ছিল। সর্বোপরি, দলের সংগঠন নিয়ে তাঁর কোনও অভিজ্ঞতাও নেই বলে মনে করেন অনেক সিপিআই নেতা। তবে রাজা দিল্লিতে থেকে দীর্ঘ দিন ধরে জাতীয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। সংসদের ভিতরে ও বাইরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও তাঁর পরিচিত ভালোই। এই অবস্থায় দলের সর্বভারতীয় পরিচিতি বজায় রাখতে সাধারণ সম্পাদক পদে তাঁর বিকল্প হওয়ার মতো আর কেউ নেই। আসলে সম্প্রতি দলের অন্যতম নেতা শামিম ফইজি’র মৃত্যুর পর রাজাকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো অন্য কোনও নামও এই মুহূর্তে নেই। সিপিআইয়ের নিচুতলায় অবশ্য প্রশ্ন, শুধু সাধারণ সম্পাদক বা দু-একজন বড় নেতা সরে দাঁড়ালেই রাতারাতি দলের হাল বদলে যাবে না। এজন্য বয়ঃবৃদ্ধ গোটা কেন্দ্রীয় বা রাজ্য নেতৃত্বেই আমূল পরিবর্তন দরকার। প্রসঙ্গত, একই দাবি রয়েছে সিপিএমের ভিতরেও। আগামী আগস্টে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে এব্যাপারে তারা শেষমেশ কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেটাই দেখার।