পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি।প্রতিকার: আজ দই খেয়ে শুভ ... বিশদ
প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে এ বছরের গোড়া থেকেই ডেঙ্গু ইস্যুতে জোরকদমে ঝাঁপিয়েছে স্বাস্থ্যভবন। বর্তমানে প্রায় রোজই নিয়ম করে ডেঙ্গু প্রস্তুতি নিয়ে এক বা একাধিক বৈঠক চলছে দপ্তরের হেডকোয়ার্টার্স-এ। জেলায় জেলায় স্বাস্থ্যকর্তাদেরও সজাগ করে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই দপ্তর ডেঙ্গুর জন্য ১২টি হাই ফোকাস জেলা চিহ্নিত করেছে। সেগুলি হল কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, নদীয়া, মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদহ, উত্তর দিনাজপুর এবং শিলিগুড়ি। কলকাতা সহ লাগোয়া জেলাগুলি এবং বাদবাকি হাই ফোকাস জেলাগুলির রোগ মোকাবিলার প্রস্তুতি এবং রোগীর চিকিৎসা— দুই খতিয়ে দেখার জন্য টিম প্রস্তুত। তারা পরিদর্শনও শুরু করেছে। চিকিৎসায় নিয়ম না মানলে প্রাইভেট হাসপাতালের লাইসেন্স কেড়ে নেওয়া হবে এবং ডেঙ্গু রোগী ভর্তিও বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
পদস্থ এক স্বাস্থ্যকর্তা বলেন, জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময় পার করলেও আশ্চর্যজনকভাবে এ বছর দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হয়েছে যথেষ্ট কম। বেশ কয়েকটি জেলায় তুলনামূলক বিচারে ৭০ শতাংশ, কী তারও কম বৃষ্টি হয়েছে। সে কারণে জল জমা, ডেঙ্গুর লার্ভার বংশবিস্তার সবই কম হয়েছে। বৃষ্টি জোরকদমে বা থেমে থেমে বারবার হলে কিন্তু পরিস্থিতিও আমূল পাল্টাবে। তাই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসের কোনও জায়গাই নেই। সত্যি কথা বলতে গেলে এত কম বৃষ্টিতে গত বছরের সঙ্গে তুলনা করার কোনও মানেই হয় না। বৃষ্টি জোরকদমে নামলে বোঝা যাবে, আগাম প্রস্তুতি এবং মাঠে-ময়দানে নেমে পরিশ্রমের মূল্য কতটা পেল সরকার।
এক নজরে ডেঙ্গু
ডেঙ্গু ভাইরাস চার ধরনের। এক, দুই, তিন ও চার।
মূলত তিন ধরনের ডেঙ্গু হয়, ক্ল্যাসিক্যাল, হেমারেজিক এবং শক সিনড্রোম।
ছড়ায় দু’ধরনের মশার মাধ্যমে। একটি এডিস এজিপ্টাই এবং অন্যটি এডিস অ্যালবোপিকটাস।
ডেঙ্গু মশা কামড়ায় সকাল এবং সূর্য ডোবার সময়। বাড়ে পরিচ্ছন্ন জলে।
বাড়ির টব, পট, বাটি, চায়ের কাপ, ভাঁড়, অ্যাকোয়ারিয়াম, টায়ার, কারখানার জিনিসপত্র ইত্যাদি জায়গায় জল জমতে না দেওয়া এই মশা দমনের প্রধান উপায়।
অল্প থেকে ধুম জ্বর হয়। সঙ্গে গা-হাত-পায়ে ব্যথা, প্রচণ্ড মাথাব্যথা, চোখের পিছনে ব্যথা, বমিভাব ও বমি, কখনও কখনও ডায়ারিয়া, ডিহাইড্রেশন, সর্দি-কাশি, গায়ে র্যা শ ইত্যাদি দেখা যায়।
প্লেটলেট কমে। আচ্ছন্নভাব দেখা যায়। হেমারেজিক হলে মাড়ি, মল, যৌনাঙ্গ ইত্যাদি জায়গা থেকে রক্তপাত হতে পারে। শক সিনড্রমে রক্তচাপ কমে রোগী অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।
পাঁচ থেকে সাতদিনের জ্বর থাকে। জ্বর চলে যাওয়ার পরও দুর্বলতা থাকে আরও কয়েকদিন।
হার্ট, লিভার, মস্তিষ্ক এবং ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
উপসর্গ দেখে চিকিৎসা হয়। জ্বরে প্যারাসিটামল দেওয়া হয়। ফ্লুইড লস বা ডিহাইড্রেশনে শরীরে জলের অভাব মেটাতে ফ্লুইড দিতে হয়।
এ সময় প্রচুর জল পান করতে হবে। ফল খাওয়া যেতে পারে।
প্লেটলেট কাউন্ট ২০ হাজার এবং একইসঙ্গে বিভিন্ন অংশ থেকে (মাড়ি, মল, যৌনাঙ্গ ইত্যাদি) রক্তপাত শুরু হলে প্লেটলেট দিতে হতে পারে। নয়ত ১০ হাজার কাউন্টের নিচে প্লেটলেট দেওয়ার প্রয়োজন পড়তে পারে।
বয়স্ক এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বিশেষ সাবধানতা প্রয়োজন।
জ্বরের শুরুতে এনএসওয়ান অ্যান্টিজেন, পাঁচদিনের মাথায় আইজিএম, আইজিজি পরীক্ষা করা জরুরি।