পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি।প্রতিকার: আজ দই খেয়ে শুভ ... বিশদ
মৃতার জামাইবাবু আসাদুর রহিম বলেন, বিয়েতে পণ হিসেবে সাড়ে চার ভরি সোনার গয়না ও অন্যান্য জিনিসপত্র দেওয়া হয়েছিল। বিয়ের কিছুদিন পর সম্পত্তি কেনার কথা বলে সেই সোনার গয়না বিক্রি করে দেয় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। তাতে রাজি ছিল না তাসমিনা। এনিয়ে তাসমিনার সঙ্গে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মতবিরোধ দেখা দেয়। শ্বশুরবাড়িতে তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয়। ঘটনার দিন শ্বশুরবাড়ির লোকজন ফোন করে তাসমিনা আত্মঘাতী হয়েছে বলে জানায়। শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ঘরের মেঝেয় মৃতদেহ শায়িত অবস্থায় দেখতে পাই। গলায় দড়ি দিয়ে তাসমিনা আত্মঘাতী হয়েছে বলে জানায় শ্বশুরবাড়ির লোকজন। কিন্তু, গলায় দড়ির ফাঁসের কোনও চিহ্ন দেখা যায়নি। ঘর থেকে কোনও দড়িও পাওয়া যায়নি। শ্বাসরোধ করে তাসমিনাকে খুন করা হয়েছে।
অন্য একটি ঘটনায় মন্তেশ্বর থানার বিঘা গ্রামে কীটনাশক খেয়ে এক বৃদ্ধ আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃতের নাম জার্মান মল্লিক(৬৫)। তিনি পেশায় চাষি ছিলেন। বুধবার সকালে বাড়িতে তিনি কীটনাশক খান। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি মারা যান। পারিবারিক অশান্তির জেরে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পরিবারের দাবি।
অপর একটি ঘটনায় জামালপুর থানার ভোরকা গ্রামে কীটনাশক খেয়ে এক যুবক আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃতের নাম সঞ্জয় মালিক(৩০)। তিনি পেশায় দিনমজুর ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে বাড়িতে তিনি কীটনাশক খান। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি মারা যান। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাসখানেক আগে তাঁর ছেলে পথদুর্ঘটনায় মারা যায়। তারপর থেকেই তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। মানসিক অবসাদে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিসের অনুমান।
অন্যদিকে, দেওয়ানদিঘি থানার ভাণ্ডারডিহি গ্রামে বিষক্রিয়ায় রাইসমিলের এক কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম প্রকাশ নায়েক(৫০)। ওড়িশার সীতারামপুরে তাঁর বাড়ি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার ভোরে সহকর্মীরা তাঁকে অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। বিষাক্ত কোনও কিছুর কামড়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকদের অনুমান। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে।
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু : বর্ধমান শহরের চারখাম্বা এলাকায় লরির ধাক্কায় এক বাইক আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম জয়কিশোর রায়(৩৫)। শহরেরই বাবুরবাগ কালীতলা এলাকায় তাঁর বাড়ি। তিনি একটি বেসরকারি কোম্পানির সেলসম্যান ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে বর্ধমান-কাটোয়া রোড ধরে বাইকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। চারখাম্বার কাছে একটি লরি বাইকটিকে ধাক্কা মারে। গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিস লরিটিকে আটক করেছে। তবে, চালক পলাতক।