পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি।প্রতিকার: আজ দই খেয়ে শুভ ... বিশদ
কৃষি দপ্তরের এক অফিসার বলেন, অনেক কৃষকের জমির কাগজপত্রে সমস্যা রয়েছে। উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া জমির মিউটেশন বা নামপত্তন না করায় বহু কৃষকের জমির ‘টাইটেল’ আর পরিবর্তন হয়নি। ফলে সেই কৃষকরা নিজের জমি দেখিয়ে আবেদন করতে পারছেন না। তাই কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে ব্লকে ব্লকে ক্যাম্প করলেও আবেদন সেভাবে জমা পড়ছে না। তাই কৃষকের সংখ্যা ৭৩ লক্ষ হলেও, এবং এই প্রকল্প চালুর পর কয়েক মাস হয়ে গেলেও, আবেদন জমা পড়েছে মাত্র ৩৫ লক্ষ কৃষকের। এটা অর্ধেকের কম। সব কৃষককে সরকার আর্থিক সাহায্য দিতে চাইলেও কাগজে কলমে জমির প্রমাণ না থাকায় তা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।
গত বছর ৩১ ডিসেম্বর খরিফ ও বোরো-রবি চাষের জন্য কৃষকদের আর্থিক সুবিধা দিতে দু’দফায় আড়াই হাজার টাকা করে পাঁচ হাজার টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে কেন্দ্রীয় সরকারও অনুরূপ প্রকল্প ঘোষণা করে। সেই প্রকল্প রাজ্যে লাগু হয়নি। ওই প্রকল্পের নাম কৃষকবন্ধু রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। গত ৩০ জানুয়ারি রামপুরহাটে পাঁচজন কৃষকের হাতে চেক তুলে দিয়ে কৃষকবন্ধু প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন তিনি। ১ ফেব্রুয়ারি রাজ্য জুড়ে এই প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। কৃষকদের জমির প্রমাণপত্র সহ কৃষি দপ্তরের ব্লক আধিকারিকের কাছে আবেদন করতে বলা হয়। সেই মতো আবেদন পড়তে শুরু হয়। তবে ভোটের আগে যে গতিতে কৃষকদের কাছ থেকে আবেদন পড়া উচিত ছিল, তা পড়েনি বলে কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
গত ১০ মার্চ ভোট ঘোষণার পর ওই প্রকল্পের চেক বিলি বন্ধ হয়ে যায়। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অনুমোদন চেয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সেই আবেদন মঞ্জুর করেনি। ফলে নির্বাচন কমিশনের আপত্তিতে ১০ মার্চ থেকে ২৬ মে পর্যন্ত কৃষকবন্ধু প্রকল্পের চেক বিলি বন্ধ হয়ে যায়। ২৬ মে রাতে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে আদর্শ আচরণবিধি উঠে যায়। এর পরে ফের কৃষকবন্ধু প্রকল্পের চেক বিলির উদ্যোগ নেয় কৃষি দপ্তর। জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে আড়াই হাজার টাকা করে চেক বিলি শুরু হয়েছে। জুলাই মাসের মধ্যে রাজ্যের সব কৃষকের হাতে ওই চেক তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু জমির মালিকানার প্রমাণপত্র না দিতে পারা কৃষকদের আবেদন করার ক্ষেত্রে অন্যতম প্রতিবন্ধকতা। সেই প্রতিবন্ধকতা কাটাতে নয়া পথের কথা ভাবছে রাজ্য সরকার।