পারিবারিক ঝামেলার সন্তোষজনক নিষ্পত্তি। প্রেম-প্রণয়ে শুভ। অতিরিক্ত উচ্চাভিলাষে মানসিক চাপ বৃদ্ধি।প্রতিকার: আজ দই খেয়ে শুভ ... বিশদ
তবে সারা দেশে জাল নোটের কারবার ক্রমশ কমছে বলেই লিখিত জবাবে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি বলেছেন, ‘রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া যে রিপোর্ট দিয়েছে এবং বিভিন্ন রাজ্য পুলিশ ও তদন্তকারী সংস্থা দ্বারা জাল নোট বাজেয়াপ্তের যে রিপোর্ট ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো পেশ করেছে, তা থেকে স্পষ্ট দেশে জাল নোটের কারবার ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে।’ এর পিছনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নোটবন্দির সিদ্ধান্তই দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। লিখিত জবাবে তিনি জানিয়েছেন, ‘২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর এক হাজার এবং ৫০০ টাকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার পর থেকে ২০১৯ সালের গোড়ার সময় পর্যন্ত সারা দেশে উচ্চমানে দু’হাজার এবং ৫০০ টাকার জাল নোট ধরা পড়ার ঘটনা নথিভুক্তই হয়নি। এর ফলে কেন্দ্রীয় সরকারকে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে, এমনটা মোটেও বলা যাবে না।’
তবে পশ্চিমবঙ্গের মালদহ সহ সারা দেশেই চলতে থাকা জাল নোটের কারবার বন্ধ করার উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্মলা সীতারামন। লিখিতভাবে তিনি বলেছেন, ‘দেশের জাল নোটের কারবারিদের সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের নিরাপত্তা সংস্থাগুলির কাছে সরবরাহ করার জন্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ‘ফেক ইন্ডিয়ান কারেন্সি নোটস কোঅর্ডিনেশন গ্রপ’ তৈরি করেছে। যার রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, জাল নোট অনেক সময়ই প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির থেকে পাচার হচ্ছে। জাল নোট সন্ত্রাসবাদের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে এনআইএতে তৈরি হয়েছে ‘টেরর ফান্ডিং অ্যান্ড ফেক কারেন্সি সেল’ (টিএফএফসি)। জাল নোটের পাচার রুখতে এবং জাল নোটের কারবার বন্ধ করতে বাংলাদেশের সঙ্গে মউ স্বাক্ষর করেছে ভারত। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করে আন্তর্জাতিক সীমান্তের সুরক্ষা আরও বেশি শক্তিশালী করা হয়েছে।’ পরে এ ব্যাপারে বিজেপি এমপি খগেন মুর্মু বলেন, ‘মালদহে জাল নোটের কারবার বন্ধ করার ক্ষেত্রে রাজ্যেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। কেন্দ্রের সঙ্গে এ ব্যাপারে রাজ্য সরকার কানওরকম সহযোগিতা করছে না।’