কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
প্রসঙ্গত, ১ জুন ওই হাসপাতালে মৃত্যু হয় শুক্লা ব্যানার্জি চক্রবর্তী নামে ৫৭ বছরের এক মহিলার। তিনি রিউম্যাটয়েড আর্থারাইটিস (বাত) নিয়ে ২৯ মে ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাঁর উপসর্গ ছিল বমি, তলপেটে ব্যথা ও জ্বর। পরবর্তীতে তাঁর ডেঙ্গু ধরা পড়ে। শুক্লাদেবী দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে সাতগাছি এলাকার লাহা কলোনিতে থাকতেন। বাতের রোগ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীর ডেঙ্গু ধরা পড়া ও মৃত্যু নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছিল দক্ষিণ দমদম পুরসভা কর্তৃপক্ষ। এই মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ ছড়ায় পুরসভা এলাকায়। ২০১৭ সালে এই এলাকায় ডেঙ্গু মারাত্মক আকার নেওয়ার স্মৃতি এখনও টাটকা রয়েছে। তাই বর্ষা আসার আগেই ওই ঘটনা বাসিন্দাদের ভাবিয়ে তুলেছে। ওই মৃত্যুর পর পুরসভার পক্ষ থেকে আলাদা করে মাইকিং করা, বা ডেঙ্গু সচেতনতায় আলাদা কোনও উদ্যোগ চোখে পড়েনি বলে বাসিন্দারা জানিয়েছেন। তার উপর জানা গিয়েছে, দক্ষিণ দমদমের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রমোদনগর, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের গোরক্ষবাসী রোড, লেকটাউন, দক্ষিণদাঁড়ি সহ বহু জায়গা থেকে জ্বরের খবর মিলেছে। এতে উদ্বেগ আরও বেড়েছে। যদিও এ বিষয়ে পুরসভার পক্ষ থেকে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
পুরসভার চেয়ারম্যান পাচু রায় অবশ্য জানান, মৃত্যুর ঘটনার পর আমরা খোঁজ নিয়ে দেখেছি, ওই এলাকায় আর কারও জ্বর নেই। আমরা এখনই আলাদা করে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছি না। আমাদের ডেঙ্গু নিয়ে রুটিন যে কর্মসূচি রয়েছে, সেটিই চলবে। তবে আরও সতর্ক থাকব। ২০১৭ সালে এই পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গু মারাত্মক আকার ধারণ করেছিল ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ডেঙ্গু দ্রুত ছড়িয়েছিল। তারপর থেকে পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ডেঙ্গু রুখতে বছরভর বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রবীর পাল রবিবার জানান, আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পর গত বছর একজনেরও ডেঙ্গু হয়নি। তবে ওই মৃত্যুর ঘটনার পর আমরা বাড়তি সতর্কতা অবশ্যই নেব।