কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
ব্রড স্ট্রিটের খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে এখনও কোনও উল্লেখযোগ্য ক্লু জোগাড় করে উঠতে পারেননি গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যেই বিশ্বজিৎবাবুর পরিবারের লোকজনকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তাঁরা। তাঁদের বক্তব্যে বেশ কিছু জায়গায় ধোঁয়াশা রয়েছে। সংগ্রহ করা হয়েছে ওই এলাকার রাস্তায় থাকা সিসিটিভির ফুটেজ। যাতে জানা যায় অভিযুক্তরা কীভাবে সেখান থেকে পালিয়ে গেল। পাশাপাশি মোবাইলের ‘টাওয়ার ডাম’ নেওয়া হচ্ছে। যাতে নির্দিষ্ট করা যায়, ঠিক ঘটনার সময়ে বা তার আগে ও পরে কাদের কাদের কাছে ওই বাড়ি থেকে কল গিয়েছে। পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে বিশ্বজিৎবাবু ও তাঁর মেয়েদের মোবাইলের কল লিস্ট। যাতে সেখান থেকে কোনও সূত্র মেলে।
পরিবারের লোকজনের বাইরে ওই বাড়িতে সম্প্রতি কারা কারা এসেছিলেন, এবং তার কী কারণ ছিল, তাও খোঁজা হচ্ছে। তা করতে গিয়েই কাঁঠাল গাছের বিষয়টি সামনে আসে। গোয়েন্দারা জেনেছেন, এই গাছটি বেশ পুরনো। এবছর তাতে ভালো সংখ্যায় কাঁঠাল হয়েছিল। তা দেখে এক ব্যক্তি বিশ্বজিৎবাবুর বাড়িতে আসেন। তিনি জানান, সমস্ত কাঁঠাল তিনি কিনতে চান। প্রথমে আপত্তি থাকলেও পরে রাজি হয়ে যান বাড়ির মালিক। এর জন্য ভালো অঙ্কের টাকাও হাঁকেন বিশ্বজিৎবাবু। তাতে রাজি হয়ে যান ওই ব্যক্তি। কাঁঠাল যাতে অন্য কাউকে বিক্রি করে না দেন, তার জন্য দু’হাজার টাকা অগ্রিমও দেওয়া হয়। এই বিষয়টি ভাবাচ্ছে তদন্তকারী অফিসারদের। হঠাৎ করে ওই ব্যক্তি কেন বিশ্বজিৎবাবুর বাড়িতে কাঁঠাল কিনতে এলেন, এই প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দিচ্ছে। নির্দিষ্ট কোনও পরিকল্পনা করেই সে ওই বাড়িতে এসেছিল কি না, তা জানতে চাইছেন গোয়েন্দারা। কাঁঠাল কেনার অছিলায় বাড়ির সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে কেউ ওই ব্যক্তিকে পাঠিয়েছিল কি না, তা নিয়েও খোঁজখবর শুরু হয়েছে। ওই ব্যক্তির বিষয়ে কিছু তথ্য এসেছে অফিসারদের হাতে। সেগুলি যাচাই করার কাজ চলছে।