কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
মেট্রো রেল সূত্রের খবর, চেন্নাইয়ের ফ্যাক্টরি থেকে দফায় দফায় মোট পাঁচটি নতুন এসি রেক এসেছিল শহরে। পুরনো এসি রেকগুলির তুলনায় নতুন এসি রেকগুলি উন্নতমানের। দীর্ঘদিন ধরে পরীক্ষামূলকভাবে চালানোর পর এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে দু’টি এসি রেক যাত্রী পরিষেবায় নামানো হয়। পরে নয়া তৃতীয় এসি রেকটিকেও পরিষেবায় নামানো হয়। কিন্তু, দরজা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবস্থায় সমস্যার জেরে যাত্রী বহনের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে না বাকি দু’টি রেককে।
মেট্রো রেলের এক কর্তার কথায়, কিছু যান্ত্রিক সমস্যা থাকায় নতুন দু’টি রেককে পরিষেবায় নামানোর ঝুঁকি নেওয়া যাচ্ছে না। এই দু’টি রেকের ব্যাপারে ‘রিপোর্ট’ করা হয়েছে রেল বোর্ডেও। কিন্তু চেন্নাইয়ের ফ্যাক্টরি রেকগুলিকে আর ফেরত নিতে নারাজ। তার উপরে আরও একটি রেক আসছে। সেটিকে আপাতত পরীক্ষা করে দেখা হবে। জটিলতা না থাকলে চালানো হবে। কিন্তু আগের রেকগুলির মতোই সমস্যা ধরা পড়লে কী হবে? ওই কর্তা বলেন, রেকগুলিকে নিয়ে এবার একটা সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। এভাবে কারশেডে ফেলে রাখা যাবে না। তাতে কারশেডে স্বাভাবিক কাজকর্মের স্থান সঙ্কুলানে সমস্যা হতে পারে।
তাহলে পাতালপথে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে কীভাবে? মেট্রো সূত্রের খবর, আপাতত দৈনিক ট্রেনের সংখ্যা একই রাখা হবে। পুজোর আগে বাড়তে পারে ট্রেনের সংখ্যা। তার মধ্যেই নতুন যে তিনটি রেক পরিষেবায় নেমেছে, সেগুলি অনেকটাই ‘সিজনড’ হয়ে যাবে বলে আশাবাদী কর্তারা। প্রসঙ্গত, ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর এসপ্ল্যানেড থেকে শিয়ালদহমুখী টানেল কাটার সময় থেকে কাজের দিনে মোট ট্রেনের সংখ্যাও কম রাখা হচ্ছে। ৩০০টি ট্রেনের বদলে এখন চালানো হচ্ছে ২৮৪টি করে ট্রেন।
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হলে মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাদের কাছে যাত্রীদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এগুলি নিশ্চিত করেই যাত্রী পরিষেবায় নতুন রেক নামানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।