কর্মপ্রার্থীদের ক্ষেত্রে শুভ। যোগাযোগ রক্ষা করে চললে কর্মলাভের সম্ভাবনা। ব্যবসা শুরু করলে ভালোই হবে। উচ্চতর ... বিশদ
নির্মল খুনের তদন্তে নেমে তদন্তকারী অফিসাররা প্রথম থেকেই জানার চেষ্টা করছিলেন, এর পিছনে কী কারণ রয়েছে। ছোটখাট কারণে যে তিনি খুন হননি, তা তাঁরা প্রথমেই বুঝে যান। স্থানীয় সূত্রে তাঁরা জানতে পারেন, নির্মলবাবুর শত্রু শিবিরের লোক এই ঘটনায় জড়িত রয়েছে। যারাও শাসকদলের সঙ্গে যুক্ত। তৃণমূল নেতাকে গুলি করার সময় সকলেই হাজির ছিল ঘটনাস্থলে। বাইকে চড়েই তারা এসেছিল। এরপর গ্রেপ্তার করা হয় বিজেপির নেতা সুমন কুণ্ডু, সুজয় দাস ও সঞ্জয় দাসকে। জেরায় তারা পুলিসকে জানায়, এলাকারই বাসিন্দা লাল্টু ও বিল্টু সহ আরও বেশ কয়েকজন শাসকদলে নির্মলবাবুর শত্রু শিবিরের লোক বলেই পরিচিত। কিন্তু একই দলের হওয়া সত্ত্বেও কেন তারা একে অপরের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়ল? ধৃতরা পুলিসকে জানিয়েছে, এক সময়ে এলাকায় ইমারতি দ্রব্যের সিন্ডিকেট থেকে শুরু করে সমস্ত কিছুই নিয়ন্ত্রণ করত লাল্টু ও বিল্টু। পরে নির্মলবাবু ও তাঁর এক আত্মীয় ইমারতি ব্যবসায় নামেন। এই নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে রেষারেষি বেড়ে যায়। শত্রুতাও বাড়তে থাকে। এর মধ্যে পুলিসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে নির্মল লাল্টু ও বিল্টু বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ মাদক রাখার অভিযোগ আনেন। থানা তাদের গ্রেপ্তার করে। পরে জামিন ছাড়া পায় দু’জনে। এদিকে, তাদের জেলে থাকার সুযোগে এলাকার ডন হয়ে ওঠে নির্মল। ইমারতি দ্রব্যের সিন্ডিকেটের পুরোটাই সে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। পুলিস জেনেছে, তিনি সরাসরি এই ব্যবসায় জড়িত ছিলেন না। তাঁর এক আত্মীয়ের মাধ্যমে সমস্ত কিছু দেখভাল করতেন। যাতে বিষয়টি প্রকাশ্যে না আসে। পুলিস জেনেছে, এই এলাকায় প্রচুর বহুতল নির্মাণের কাজ চলছে। তাঁর কাছ থেকেই বালি সিমেন্ট থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু কিনতে বাধ্য করা হত নির্মাণকারীদের। এমনকী ওই এলাকায় কেউ জমি কিনতে গেলেও, নির্মলকে তোলা না দিয়ে তা কেনা সম্ভব ছিল না। এভাবেই গোটা এলাকার দখল নিয়ে নেয় নির্মল।
জেলা পুলিস সূত্রে খবর, এই ঘটনার পর থেকেই তিক্ততা চরমে ওঠে। জানা যাচ্ছে, ঘটনার কয়েকদিন আগে নির্মলের শত্রু শিবিরের লোকজন তাঁকে দেখে নেবে বলেও শাসিয়ে যায়। তারপরই এই ঘটনা। ধৃতদের জেরা ও পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে পুলিসের সন্দেহ, লাল্টু ও বিল্টু নামে যে দুই যুবককে জেলে পুরেছিলেন নির্মল, এই খুনে তাদের যোগ থাকতে পারে। তবে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সেই কারণেই তাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তারা ছাড়াও আরও অনেকেই রয়েছে এই ঘটনায়। তবে গুলিটি কে চালাল, তা স্পষ্ট নয়। ধৃতদের জেরা করে তা জানার চেষ্টা হচ্ছে।