বেশি বন্ধু-বান্ধব রাখা ঠিক হবে না। প্রেম-ভালোবাসায় সাফল্য আসবে। বিবাহ যোগ আছে। কর্ম পরিবেশ পরিবর্তন ... বিশদ
পরিবহণ দপ্তর সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার সড়ক পরিবহণের পাশাপাশি জলপথকেও বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে। সেই কারণেই ফেরিঘাটগুলির জন্য সুরক্ষাবিধি লাগু করা হয়েছে। ভুটভুটির পরিবর্তে উন্নতমানের জলযান নামাতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। তার জন্য ভর্তুকির ব্যবস্থা চালু হয়েছে। ঘাটগুলির সুরক্ষায় নিয়োজিত করা হয়েছে জলসাথীদের। নিগমের পক্ষ থেকেও উন্নতমানের জলযান নামানো হচ্ছে। রয়েছে ওয়াটার ট্যাক্সি, প্রমোদ ভ্রমণের জন্য বিশেষ ভেসেল বা ক্রুজ। এর সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই এবার ফেরিঘাটের ‘টিকিটিং সিস্টেম’ বা টিকিট কাটার ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ করা হচ্ছে।
পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত তিনটি ফেরিঘাটে একগুচ্ছ ফ্ল্যাপগেট বসানো হয়েছে। এই গেটে রয়েছে বিশেষ ‘সেন্সর’। মেট্রোর মতোই জেটিতে প্রবেশের আগে এই গেটে স্মার্ট কার্ড ‘পাঞ্চ’ করতে হবে যাত্রীদের। ইতিমধ্যেই নিগমের বাসের জন্য কার্ড বিক্রি ও রিচার্জের জন্য একাধিক কাউন্টার রয়েছে। নতুন করে মিলেনিয়াম পার্ক সহ মোট ১৫টি জায়গায় কার্ড বিক্রি ও রিচার্জের কাউন্টার খোলা হবে।
কোথায় কোথায় বসানো হয়েছে এই গেট? পরিবহণ দপ্তরের এক কর্তার কথায়, শিপিং, ফেয়ারলি এবং হাওড়া ফেরিঘাটে ফ্ল্যাপগেট বসানো হয়েছে। তার মধ্যে শিপিং ফেরিঘাটে রয়েছে তিনটি গেট, হাওড়ায় রয়েছে তিনটি গেট এবং ফেয়ারলিতে রয়েছে দু’টি গেট। নিত্যদিন শ’য়ে শ’য়ে যাত্রী এই ঘাটগুলি দিয়ে গঙ্গা পারাপার করেন। তাঁদের মধ্যে বহু অফিস যাত্রী রয়েছেন। ফলে বহু যাত্রী নয়া ব্যবস্থার সুবিধা নিতে পারবেন বলে মনে করছেন কর্তারা। যাত্রীদের জন্য আপাতত ১০ হাজার টোকেন কেনা হয়েছে। তার মধ্যে শিপিং এবং ফেয়ারলিতে থাকবে তিন হাজার করে টোকেন। ওই কর্তা বলেন, নয়া টিকিট ব্যবস্থা এই ঘাটগুলিতে চালু হয়ে গেলে, কাগজের টিকিট আর ইস্যু করা হবে না। কেবল জরুরি প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য কাগজের টিকিট রাখা হবে।
নিগমের কর্তাদের বক্তব্য, নয়া ব্যবস্থা চালু হলে যাত্রীদের যেমন সুবিধা হবে, তেমনই নিগমের আয়ও বৃদ্ধি পাবে। যাত্রীরা স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে খেয়া পারাপার করলে অযথা কাউন্টারে দাঁড়াতে হবে না। এড়ানো যাবে খুচরোর হ্যাপাও। তার উপরে একই স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে নিগমের বাসেও যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রীরা। ফলে এক কার্ডেই জল ও স্থলপথে সফর করতে পারবেন তাঁরা। নয়া প্রযুক্তির গেটে টিকিট ফাঁকির সম্ভাবনাও এড়ানো যাবে বলে মনে করছেন কর্তারা। তাতে টিকিট বিক্রি খাতে আয় বাড়বে নিগমের।