কর্মক্ষেত্রে অশান্তির সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কার শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যাশিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার: ... বিশদ
তারকেশ্বর উন্নয়ন পর্ষদের সদস্য তথা পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সামন্ত বলেন, দুধপুকুরের দূষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য স্বর্ণমন্দিরের আদলে ওজনাইজেশন প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা ভাবা হচ্ছে। এজন্য স্বর্ণমন্দিরে এই প্রকল্পের কাজ করা সংস্থার আধিকারিক, উন্নয়ন পর্ষদের আধিকারিক ও পূর্তদপ্তরের আধিকারিকরা দুধপুকুর পরিদর্শন করেছেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করার জন্য ৬ কাঠা জমি চাওয়া হয়েছিল। মন্দির কর্তৃপক্ষ ৪ কাঠা জমি দিতে রাজি হয়েছে। তাই ওই জায়গার মধ্যেই প্রকল্পটি বাস্তাবায়িত করার জন্য স্বর্ণমন্দিরে যে সংস্থা দায়িত্বে রয়েছে, তারা বুধবার এলাকাটি পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, জমির সমস্যা সমাধান হওয়ায় খুব শীঘ্রই টেন্ডার করে আমরা কাজ শুরু করতে পারব বলে আশা করছি। এই ব্যবস্থা কার্যকর করা গেলে দুধপুকুরের দূষণ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলে আমরা আশা করছি।
প্রসঙ্গত, তারকেশ্বর মন্দির লাগোয়া দুধপুকুরে স্নান করে চরণামৃত পান করলে মানুষের সমস্ত রোগব্যাধি সেরে যায়—এই বিশ্বাসে প্রতি বছর কয়েক লক্ষ মানুষ এখানে হাজির হন। তাঁরা দুধপুকুরের জল চরমামৃত হিসেবে পান করেন। কিন্তু এই পুকুরে মন্দির ও আশেপাশের এলাকার নোংরা জল, আবর্জনা প্লাস্টিক সহ অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ পড়ে জল দূষিত হয়। তাই দুধপুকুরের জল দূষণ মুক্ত করার জন্য ১৯৯৬ সালে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। তারপর থেকেই দুধপুকুরের দূষণ বন্ধ করতে বিগত কয়েক বছরে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নেয় পুরসভা ও রাজ্য সরকার। কিন্তু তারপরেও দূষণ এড়ানো সম্ভব হয়নি। প্রাথমিক ডিপিআর তৈরি করা সংস্থা ও টিডিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন এই পদ্ধতিতে কোনও রাসায়নিক পদার্থ ছাড়াই হাওয়ার সাহায্যে জল শোধনের কাজ হবে। এই হাওয়াই জলের দূষণ কমাবে ও অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধির কাজ করবে। স্বর্ণমন্দিরের শোধন প্ল্যান্ট নির্মাণকারী সংস্থার ডিরেক্টর বিশাল ওয়াইন দেশকার বলেন, আমরা দু’টি পদ্ধতিতে দুধপুকুরের জল শোধনের প্রাথমিক ডিপিআর তৈরি করে রাজ্য সরকারের কাছে দিয়েছি। একটি, পুকুরের কোনও একটি অংশে ভাসমান নৌকায় ইলেট্রিক্যাল মেশিন ও হাওয়া পাম্প বসানো। অন্যটি, পুকুরের পাড়ে কোনও একটি জায়গায় যন্ত্রাংশ বসানো। প্রশাসন দ্বিতীয় পদ্ধতিটি চিহ্নিত করেছে। আমরা সেইমতো ডিপিআরও করেছি।