কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
সেই প্রশ্নের এবং আরও এক অতিরিক্ত প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ২০১০ সালে হরিণঘাটা ফার্মের মাংস বিপণন কেন্দ্র ছিল ছ’টি। ২০১৮-’১৯ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪৪টি। যা প্রায় ৪০ গুণ। ২০১১ সালে মাংসের বার্ষিক উৎপাদন ছিল ২৫.৩৮ মেট্রিক টন। সেখানে এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৫৪১.৩০ মেট্রিক টন। ২০১১ সালে হরিণঘাটার মাংস বিক্রি করে আয় হয়েছিল ৪০ লক্ষ ৬১ হাজার টাকা। সেখানে এখন তা বেড়ে হয়েছে ১৭ কোটি ৮৪ লক্ষ টাকা। মন্ত্রী পরে বলেন, হরিণঘাটা ফার্মের মাংস উৎপাদন কেন্দ্রের আধুনিকতায় জোর দেওয়া হয়েছে। মাংস উৎপাদনে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দপ্তরের কর্তাদের কথায়, হরিণঘাটা ফার্মের মাংস প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্টের আধুনিকীকরণ হয়েছে ও ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। দৈনিক ছ’ মেট্রিক টন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি সেমি অটোমেটিক চিকেন প্রসেসিং প্ল্যান্ট তৈরি করা হয়েছে।
শুধু মাংস উৎপাদন ও বিক্রি বৃদ্ধিই নয়, বেড়েছে বার্ষিক ডিম উৎপাদনের হারও। মন্ত্রী এব্যাপারে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ২০১০-’১১ সালে ডিমের বার্ষিক উৎপাদন ছিল ৪০০ কোটি। সেখানে এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬০ কোটি। গত আট বছরে ডিমের উৎপাদন ১১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের অধীনে মাংসের বার্ষিক উৎপাদনের হারও ৪২ শতাংশ ছুঁয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। তাঁর কথায়, মাংসের বার্ষিক উৎপাদন ২০১০-’১১ সালে ছিল ৫৭৭ হাজার মেট্রিক টন। সেখানে এখন হয়েছে ৮২০ হাজার মেট্রিক টন।
দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিমের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে মেদিনীপুর, সিউড়ির বারাহমহুল্লা ও হরিণঘাটায় তিনটি আধুনিক মুরগি খামার গড়ে তোলা হয়েছে। ওই খামার থেকে বছরে চার লক্ষ মুরগির বাচ্চা উৎপাদিত হবে। দপ্তরের এক শীর্ষকর্তা বলেন, মুক্তাগণ পদ্ধতিতে মুরগি পালনে উৎসাহিত করতে তা বিতরণ করা হবে। দপ্তর সূত্রে খবর, ২০১২ সালে ১৯তম জাতীয় প্রাণী সুমারি অনুযায়ী, এই রাজ্যে মোট ১ কোটি ৬৫ লক্ষ ১৫ হাজার গোরু, ১ কোটি ১৫ লক্ষ ১০ হাজার ছাগল এবং ৫ কোটি ২৮ লক্ষ ৪০ হাজার মুরগি রয়েছে।
মন্ত্রীর কথায়, মুক্তাগণ পদ্ধতিতে হাঁস ও মুরগি পালনে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ২০১১-’১২ সাল থেকে ২০১৮-’১৯ সাল পর্যন্ত ২১ লক্ষ ২৩ হাজার মানুষের মধ্যে ৪৪৬.২১ লক্ষ উন্নতমানের হাঁস ও মুরগির বাচ্চা বিতরণ করা হয়েছে। ২০১৯-’২০ সালে এক কোটি মুরগির বাচ্চা বিতরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৭ লক্ষ ৪৬ হাজার বিতরণ করা হয়েছে। বর্তমানে কলকাতা পুরসভা এলাকায় ন’টি ভ্রাম্যমাণ বিক্রয়যান ও ৫০টি ই-রিকশ চালু রয়েছে। যার মাধ্যমে শহরবাসীকে মাংস ও মাংসজাত দ্রব্য সুলভ মূল্যে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।