কোনও কিছুতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভাববেন। শত্রুতার অবসান হবে। গুরুজনদের কথা মানা দরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সুফল ... বিশদ
তবে তার আগেই এদিন সরকারপক্ষ ও বিরোধীদের মধ্যে একপ্রস্থ আকচা-আকচি হয় বিধানসভার কার্য উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে। স্বরাষ্ট্র, সংখ্যালঘু, ভূমি ও ভূমি সংস্কারের মতো মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকা গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের বাজেট সদনে আলোচনা ছাড়াই গিলোটিন প্রথার সাহায্যে পাশ করিয়ে নিতে শাসক শিবির যে পরিকল্পনা করেছে, বৈঠকে তার তীব্র প্রতিবাদ করেন বাম ও কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের বাজেট নিয়ে আলোচনার দাবিতে অনড় সুজন-মনোজরা রীতিমতো তর্কে জড়িয়ে পড়েন। তবে সরকারপক্ষ দাবি মানার কোনও ইঙ্গিত না দেওয়ায় কংগ্রেস ও বাম প্রতিনিধিরা বৈঠক বয়কট করে ওয়াকআউট করেন। পরে মান্নান-সুজনরা জানান, ১০ তারিখ যদি এই সব দপ্তরের বাজেট গিলোটিনে পাঠানো হয়, তাহলে সদন বয়কট করে বাম ও কংগ্রেস বিধায়করা বিধানসভা চত্বরে নকল অধিবেশন বসাবেন। সেখানে তাঁরা এই সব দপ্তরের বাজেট নিয়ে আলোচনা করবেন।
এদিন অধিবেশনের শুরুতেই মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার বিক্রি সংক্রান্ত বিতর্কিত বিষয়টি নিয়ে পয়েন্ট অব ইনফরমেশন তুলে তাঁর অভিযোগ ও দাবির বিষয়টি উল্লেখ করেন মনোজবাবু। তাঁকে বক্তব্য বলার অনুমতি দিলেও অবশ্য অধ্যক্ষ তা রেকর্ডে রাখা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেন। এনিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে মনোজের পাশাপাশি মান্নান-সুজনরা এক সুরে বলেন, এটা একটা বড় কেলেঙ্কারি বলে আমাদের ঘোরতর সন্দেহ। সরকার তাদের হাতে থাকা ৪৭ শতাংশ শেয়ার ওই সংস্থার অপর কর্ণধার বেসরকারি মালিকানাধীন কোম্পানিকে মাত্র ৮৪.৫ কোটি টাকায় বিক্রি করেছে। অথচ সেই বেসরকারি কোম্পানিটি অচিরেই ১৫ শতাংশ শেয়ার সিঙ্গাপুরের একটি সংস্থাকে ১৭০ কোটি টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে। এর থেকেই স্পষ্ট, গোটা প্রক্রিয়ায় অন্তত ৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে সরকার। সর্বোপরি, এবিষয়ে অভিযোগ পেয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সি এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট নবান্নের কাছে সংশ্লিষ্ট ফাইল চেয়ে পাঠালেও তাদের তা দেওয়া হচ্ছে না বলেও খবর ছড়িয়েছে। তাই এর পিছনে বড় মাপের ঘোটালা হয়েছে বলে আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।