উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
বিডিও বলেন, রবিবারের রাতের ঝড় শিলাবৃষ্টিতে ২০০ গ্রাম পর্যন্ত ওজনের শিল পড়েছে। ঝড়, শিলাবৃষ্টিতে ১৫০০ বাড়ি ও শ্রমিক আবাসের ক্ষতি হয়েছে। শিলাবৃষ্টিতে ১০ জনের মতো জখম হয়েছেন। কয়েকটি ছাগলও মারা গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণের ব্যাবস্থা করা হচ্ছে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি শীলাদেবী বলেন, দুর্গতদের মাথা গোঁজার ব্যবস্থা করতে প্রশাসনের পাশাপাশি পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সেন্ট্রাল ডুয়ার্স চা বাগানের কর্মী সুদীপ ছেত্রি বলেন, সাম্প্রতিককালে এরকম ঝড় শিলাবৃষ্টি আর দেখিনি। ১০০ গ্রাম, ১৫০ গ্রাম থেকে প্রায় ২০০ গ্রাম পর্যন্ত শিল পড়েছিল। শিলের আঘাতে অনেকেই জখম হয়েছেন। এদিকে জখম হওয়া ১০ জনকে রবিবার রাতেই লতাবাড়ি ব্লক প্রাথমিক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। শিলের আঘাতে অনেকেরই মাথা ফেটে গিয়েছে। ১০টি ছাগলেরও মৃত্যু হয়েছে।
সেন্ট্রাল ডুয়ার্স চা বাগানের ম্যানেজার বিবেক শেঠ বলেন, রবিবারের রাতের ঝড়, শিলাবৃষ্টিতে আমাদের ২৫০ হেক্টর চা গাছের ক্ষতি হয়েছে। শিলের আঘাতে প্রায় ৫০ হাজার টাকার চা পাতা ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে, কোচবিহারের মাথাভাঙা-১, ২ ও শীতলকুচি ব্লকেও ঝড় বৃষ্টি হয়েছে। তবে ঝড়ে বেশ কিছু বাড়িঘরের ক্ষতি হয়েছে। ঝড়, শিলাবৃষ্টিতে ফসল বিশেষ করে পাট ও ভুট্টার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বহু জায়গায় বিদ্যুতের খুঁটি ও গাছ ভেঙে পড়ে গিয়েছে। ঝড়ের জন্য সোমবারও বহু জায়গা বিদ্যুৎহীন হয়েছিল। মাথাভাঙা-১ বিডিও সম্বল ঝাঁ বলেন, পঞ্চায়েতগুলিকে ক্ষয়ক্ষতির হিসাব করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফসলের ক্ষতি হয়েছে। কিছু বাড়িরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিন রাতে ঝড় না হলেও জলপাইগুড়ির বিভিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে। তাতে জেলার বিভিন্ন নদীতে সামান্য জল বেড়েছে।