উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
এদিকে, রবিবার সকাল থেকে হুগলির আবহাওয়া একেবারে স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছিল। এদিন দফায় দফায় রোদও উঠেছে। ফলে সকাল থেকেই জনজীবন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসে। জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, কোথাও হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে কিছু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু মানুষকে আমরা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে এনেছিলাম। চাষের জমির ক্ষেত্রে বেশকিছুটা ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ ধরে ধান ও আলুর ক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণ বেশি।
শনিবার দিনভর বুলবুলের তাণ্ডবে হুগলির জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। দুপুরের মধ্যেই জেলাজুড়ে মানুষ ঘরবন্দি হয়ে পড়েন। মাত্র একদিনের তাণ্ডবে জীবনহানি না হলেও বসতির অনেকটা ক্ষতি করে দিয়ে গিয়েছে। তবে চাষের ক্ষেত্রে ক্ষতি হয়েছে মারাত্মক। প্রাথমিক সরকারি হিসেব মোতাবেক খরিফ মরশুমে জেলায় ১ লক্ষ ৮১ হাজার ৯০৭ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছিল। যার মধ্যে ৬০ হাজার ৬৯৯ হেক্টর এলাকাই ক্ষতির মুখে পড়েছে। আলুর ক্ষেত্রে ৩০ হেক্টর জমির মধ্যে ২৫ হেক্টরই ক্ষতির মুখে পড়েছে। সব্জির ক্ষেত্রে ৮ হাজার ৬২৮ হেক্টর জমির মধ্যে ৬ হাজার ৯৬০ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তেলশস্য ও ডালশস্যের ক্ষেত্রে ক্ষতি হলেও তা তুলনায় কিছুটা কম বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলার পুরসভা ও গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ধরে মোট ২২০টি এলাকার মধ্যে ২১৩টিই ক্ষতির কবলে পড়েছে। এমনিতেই সব্জির চড়া দরের মধ্যে বুলবুলের হানাতে দাম আরও আগুন হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
কৃষির পাশাপাশি বসতিও জেলাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বসতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ২৫২টি বাড়ি আংশিকভাবে চন্দননগরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানে সম্পূর্ণভাবে দু’টি বাড়ি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। জেলা সদরে অংশত ৯০টি ও সম্পূর্ণভাবে ২২টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শ্রীরামপুর মহকুমার ক্ষেত্রে ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে কম। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, আর্থিক ক্ষয়ক্ষিতর পরিমাণ হিসেবের কাজ চলছে।