উচ্চতর বিদ্যায় সাফল্য আসবে। প্রেম-ভালোবাসায় আগ্রহ বাড়বে। পুরনো বন্ধুর সঙ্গে সাক্ষাতে আনন্দলাভ হবে। সম্ভাব্য ক্ষেত্রে ... বিশদ
জন্ম-মৃত্যু শংসাপত্র বিলির রাজস্ব আয় সংক্রান্ত রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, অর্থ আদায়ের পরিমাণ গত দু’মাসে কয়েকগুণ বেড়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে গত ৫ সেপ্টেম্বর ৩০ হাজার ২০০ টাকা, ৭ সেপ্টেম্বর ২৮ হাজার ৯০০ টাকা, ১৭ সেপ্টেম্বর ৩২ হাজার ৯০০ টাকা, ১৮ সেপ্টেম্বর ২৯ হাজার ৩০০ টাকা, ২৪ সেপ্টেম্বর ৩১ হাজার টাকা, ২৬ সেপ্টেম্বর ২৭ হাজার ৩০০ টাকা, ৩০ সেপ্টেম্বর ২৯ হাজার ৩০০ টাকা পুর কোষাগারে জমা হয়েছে। আবার অক্টোবরে পুজোর ছুটি থাকলেও, যেক’টি দিন পুরভবন খোলা ছিল, নথি তোলা হিড়িক সেদিনগুলিতে কোনও অংশে কম ছিল না। তথ্যানুযায়ী, ১৮ অক্টোবর ২৭ হাজার ১০০ টাকা, ১৯ অক্টোবর ৩১ হাজার ২০০ টাকা, ২২ অক্টোবর ৩১ হাজার ৬০০ টাকা, ২৩ অক্টোবর ২২ হাজার ৮০০ টাকা, ২৫ অক্টোবর ৩৫ হাজার টাকা আদায় হয়েছে।
স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়মানুসারে, কলকাতার কোনও হাসপাতালে কারও জন্ম হলে, সেই জন্মের পাঁচ বছর পর্যন্ত ওই স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠান যে বরোর অধীনে, সেখান থেকে সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। জন্মের এক বছর পর্যন্ত এই সার্টিফিকেটের এক কপি বিনামূল্যে পাওয়া যায়। তার থেকে বেশি কপি কেউ চাইলে নথিপিছু ১০০ টাকা করে দিতে হয়। পাঁচ বছর পর রেকর্ডের রেজিস্টার কলকাতা পুরসভার সদর দপ্তরে চলে আসে। স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তাদের কথায়, বর্তমানে যাঁরা জন্ম নথি নিতে ভিড় করছেন, তাঁদের গড় বয়স চল্লিশ ছুঁইছুঁই। অনেক বৃদ্ধ-বৃদ্ধাও আসছেন। প্রত্যেকেরই চোখে-মুখে এনআরসি আতঙ্ক। তাঁদের একটাই আবেদন, ‘দেশ থেকে বেরিয়ে যেতে চাই না। একটা জন্ম শংসাপত্র ‘দয়া’ করে দিন।’ ডেপুটি মেয়র তথা স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ বলেন, এনআরসি আতঙ্কের শুরুতেই যেভাবে ভিড় হচ্ছিল, তা নিয়ন্ত্রণে আনতে ১০০টির বেশি ফর্ম ইস্যু করতে নিষেধ করি। এই ফর্ম দিলেই তবে সার্টিফিকেট পাওয়া যায়। কিন্তু আতঙ্ক এতটাই, সেই ১০০টিও যথেষ্ট হচ্ছে না।